শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে কোনো প্রকার চাপ দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সংসদীয় কমিটিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে- শ্রম আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে।
এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান। জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এটিকে চাপ বলব না। তবে এ নিয়ে তো অনেক কথাই হয়েছে। র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। আমাদের কাজ হলো সামনের দিনে এ নিষেধাজ্ঞা কীভাবে তোলা যায়। সেই সঙ্গে আমরা নিশ্চিত করেছি এ নিষেধাজ্ঞা যেন আর না বাড়ে।’
শাহরিয়ার আরও বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে সম্পর্ক রেখেছি এবং যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি, যে ভাষায় কথা হচ্ছে- এর পরিপেক্ষিতে আগামী মার্চ-এপ্রিলে দুই দেশের মধ্যে হাই প্রোফাইল (উচ্চপর্যায়) ভিজিট (সফর) ও ডায়ালগ (সংলাপ) আছে। সেগুলো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে একটি আবহ তৈরি করবে। এ নিষেধাজ্ঞাগুলো তোলার জন্য যে আইনি প্রক্রিয়া আছে আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমানসহ সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করে সরকারের অবস্থান জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন ড. মোমেন। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে ফোন করে এ বিষয়ে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন।
পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে র্যাবের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। চিঠিতে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করতে আহ্বান জানিয়েছেন মোমেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনকে দেওয়া চিঠিতে সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডে র্যাবের ভূমিকাও তুলে ধরেছেন আবদুল মোমেন।