কোস্টগার্ডে যুক্ত হচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ ‘হোভ্যারক্র্যাফট’

ফানাম নিউজ
  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:১৪

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে খুব শিগগিরই এ বাহিনীতে যুক্ত হতে যাচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ, হোভ্যারক্র্যাফট ও দ্রুতগতিসম্পন্ন বোট।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘কোস্ট গার্ড দিবস ২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কোস্ট গার্ড দিবস-২০২২ উপলক্ষে আমি এ বাহিনীর সর্বস্তরের সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য দূরদর্শিতায় ১৯৭৪ সালে ‘বাংলাদেশের টেরিটোরিয়াল ওয়াটার অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট’ প্রণীত হয়। পরবর্তীতে এ আইনের হাত ধরেই আমাদের সমুদ্র বিজয় সুনিশ্চিত হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সুবিশাল সমুদ্র এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি দেশের সুনীল অর্থনীতি কেন্দ্রীক কার্যক্রমের নিরাপত্তা বিধানে কোস্ট গার্ড অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ১৯৯৪ সালে জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের আনীত বিলের মাধ্যমে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড একটি বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর ১৯৯৬ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকার কোস্ট গার্ডের বিভিন্ন জোনের জন্য ভূমি বরাদ্দ, অবকাঠামো নির্মাণ এবং নতুন নতুন জলযান সংযোজনের মাধ্যমে কোস্টগার্ডের অগ্রযাত্রায় বিশেষ অবদান রাখে।

তিনি আরও বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উপকূলীয় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোস্ট গার্ডের স্টেশন ও আউট পোস্টসমূহে কোস্টাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন আকারের ৭৭টি জলযান নির্মাণ করা হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, কোস্টগার্ডের জোনসমূহে কর্মরত সদস্যদের বাসস্থান, ব্যারাক ও প্রশাসনিক ভবন ইত্যাদি নির্মাণ করা হয়েছে। পটুয়াখালী অঞ্চলে নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেইস তৈরির মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের জনবলের প্রশিক্ষণ সক্ষমতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা ‘বিসিজি বেইস অগ্রযাত্রা’ নামে কমিশন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য দুটি ইনশোর প্যাট্রল ভেসেল, একটি ফ্লোটিং ক্রেন, দুটি টাগ বোট এবং ১৬টি বোট তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গজারিয়ায় একটি ডকইয়ার্ড নির্মাণ করা হচ্ছে। সুনীল অর্থনীতি ও গভীর সমুদ্রে নিরাপত্তার জন্য ১৫ হাজার জনবল অর্জনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি, এ বাহিনীর উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আমাদের সহযোগিতা চলমান থাকবে এবং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দৃপ্ত পদক্ষেপে অগ্রসর হয়ে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বিশেষ অবদান রেখে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে। আমি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কোস্ট গার্ড দিবস ২০২২ এর সফলতা কামনা করছি।