শিরোনাম
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বহরে যুক্ত হয়েছে দেশে নির্মিত দুটি অয়েল ট্যাংকার ও একটি ফ্লোটিং ওয়ার্কশপ। জাহাজ দুটির নাম ‘ওটি সাফা’ ও ‘ওটি মারওয়া’।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় দুই ট্যাংকার ও ফ্লোটিং (ভাসমান) ওয়ার্কশপটি উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
দুই ট্যাংকার বহরে যুক্ত হওয়ায় বিআইডব্লিউটিসির সক্ষমতা বেড়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেল পরিবহনে বছরে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা খরচ হতো বিআইডব্লিউটিসির। এ জাহাজ দুটো নির্মাণ করায় খরচ এক-চতুর্থাংশ কমে আসবে। প্রাথমিকভাবে সংস্থাটির মালিকানাধীন বিভিন্ন নৌযানের জ্বালানি তেল পরিবহন করা হবে। পাশাপাশি চাইলে তেল পরিবহনের জন্য ভাড়াও দেওয়া যাবে।
শিপিং ব্যবসার ক্ষেত্রে দেশ ও নদীর স্বার্থরক্ষার নির্দেশনা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিপ বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে আমাদের বিশাল সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম জোগানদাতা হতে পারে শিপ বিল্ডিং। তবে সেখানে আমাদের কমিটমেন্ট থাকতে হবে। আমরা ব্যবসা করবো, কিন্তু দেশ ও নদীর স্বার্থও যেন দেখা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দুই অয়েল ট্যাংকারের ধারণক্ষমতা ছয় লাখ করে মোট ১২ লাখ লিটার তেল। ট্যাংকার দুটি দিয়ে বিআইডব্লিউটিসির নৌযানে তেল সরবরাহ করা হবে। কম গভীরতায়ও চলবে এ দুই জাহাজ। জাহাজ দুটি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে ৪৫০ হর্স পাওয়ারের সুইডেনের স্ক্যানিয়া ইঞ্জিন। আপাতত চলবে মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ ও মাদারীপুর রুটে।
এছাড়া দুই কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফ্লোটিং বা ভাসমান ওয়ার্কশপের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় বিআইডব্লিউটিসির নৌযান মেরামতের কাজ করা হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুলতান আব্দুল হামিদ, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদিক, জাহাজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান থ্রি অ্যাঙ্গেল মেরিন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
সূত্র: জাগো নিউজ