শিরোনাম
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ছয় জন সদস্য খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছেন। তারা চান নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। তাদের দাবির মধ্যে আরও রয়েছে- বাংলাদেশের সরকার যেন বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে। এ বিষয়ে তারা ইইউ’র হাইরিপ্রেজেন্টিটিভ (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) জোসেফ বোরেলকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
যদিও বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক মহল বিষয়টিকে একদমই আমলে নিচ্ছে না। ছয় জন সংসদ সদস্যের নিজস্ব মতামত তাদের হাইরিপ্রেজেন্টিটিভকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। ফলে এখানে বাংলাদেশ সরকারের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই এবং ওই চিঠির কোনও গুরুত্ব নেই।
এ বিষয়ে ব্রাসেলসের জ্যেষ্ঠ একজন কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ‘ওই চিঠি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিজস্ব একটি কমিউনিকেশন এবং এটি আমাদের লেখা হয়নি। ফলে এটির কোনও গুরুত্ব নেই আমাদের কাছে।’
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ৭০০-এর বেশি সংসদ সদস্যের মধ্যে ছয় জন তাদের নিজস্ব মতামতে কী লিখলো সেটি কোনও বিষয় নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরকম চিঠির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা তাদের নিজস্ব মতামত ইইউকে জানিয়ে থাকে।’
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ‘এটি ছয় জন সংসদ সদস্যের লেখা এবং এখানে তাদের নিজস্ব ক্যাপাসিটিতে মতামত ব্যক্ত করা হয়েছে।’
ওই চিঠির মাধ্যমে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে মাথায় রেখে দেশটিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন ছয় জন।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারী ছয় জন সদস্য হলেন- স্লোভাক রিপাবলিকের ইভান স্টেফানেক, চেক রিপাবলিকের মিশেলা সদরোভা, বুলগেরিয়ার আন্দ্রে কোভাটচেভ, ডেনমার্কের কেভিন মেলশিয়র, স্পেনের জেভিয়ার নার্ট ও ফিনল্যান্ডের হেইডি হাউটোলা।
চিঠিতে সুশীল সমাজের প্রতিষ্ঠান অধিকার এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের উপাত্তের ভিত্তিতে দাবি করা হয়- বছরের প্রথম ৯ মাসে ৫৪ জন গ্রেফতারকৃত অবস্থায় মারা গেছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের উপাত্তের ভিত্তিতে দাবি করা হয়—এরমধ্যে ৩৪ জন যখন মামলা চলছিল তখন আটক থাকা অবস্থায় মারা যায়।
এর আগে, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ছয় জন কংগ্রেসম্যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বাংলাদেশ নিয়ে চিঠি লিখেছিলেন।