সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দেশকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি: প্রধানমন্ত্রী

ফানাম নিউজ
  ০৭ জুন ২০২৩, ০৪:৪০

বাংলাদেশ অধিক জনসংখ্যার দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও সরকার আর্থ-সামাজিকভাবে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশ সফররত ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। মঙ্গলবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ হয়। এ সময় সরকারপ্রধান এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভারত; দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুই প্রতিবেশী দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা উচিত।’

বর্তমান সরকার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট) স্থাপন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পারস্পরিক কল্যাণে এখানে দুই দেশের মধ্যে কর্মকাণ্ড বিনিময়ের সুযোগ রয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার, সেনাবাহিনী ও দেশটির জনগণের সমর্থন ও ভূমিকার কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

শেখ হাসিনা দারিদ্র্যকে প্রধান শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, দারিদ্র্য এ অঞ্চলের জনগণের প্রধান শত্রু। এ অঞ্চলের দেশগুলোকে দারিদ্র্য দূর করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের নানা দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিরাজ করছে। এ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, ‘প্রতিরক্ষা শিল্পখাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা খুব ভালোভাবে এগিয়ে চলেছে।’

জেনারেল মনোজ পান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে বলেন, আগামী দিনেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতীয় সেনাপ্রধান পারস্পরিক সুবিধার জন্য এ সুযোগগুলোকে কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

বৈঠককালে জেনারেল মনোজ পান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে, তিনি চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছেন। এ সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।