শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮ সালের পর থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে বলেই সব দিক থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে রয়েছে।
তিনি বলেন, আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন হয়েছে কারণ স্থিতিশীল পরিবেশ আছে। উন্নয়নশীল থেকে উন্নত হিসেবে অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
রবিবার (২৮ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তিপদক প্রাপ্তির সুবর্নজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর পরিকল্পিতভাবে দেশের মানুষের উন্নয়ন করেছে বলেই আজকে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার কম, স্বাক্ষরতা হার বেড়েছে, মাতৃমৃত্যু হার কম। বাংলাদেশের মানুষ আর ভিক্ষা করে চলবে না, নিজের মর্যাদা নিয়ে চলবে- সেটাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে, যারা আমাদের স্বাধীনতা চায়নি; প্রতিনিয়ত তাদের প্রতিবন্ধকতা আমাদের অতক্রিম করতে হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন জনগণই শক্তি, জনগণই ক্ষমতার উৎস। আমি সেই বিশ্বাসে বিশ্বাসী, সেই বিশ্বাস নিয়েই আমার পথচলা। জাতির পিতার শান্তির বাণী শুনিয়েছেন, কিন্তু তাকেও নিজের জীবন দিতে হয়েছে কিছু অমানুষের হাতে। আমরা চাই না অশান্তি-সংঘাত; আমরা চাই মানুষের জীবনের উন্নতি।
জাতির পিতা বিশ্ব শান্তিতে বিশ্বাস করতেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কি দুভার্গ্য আমাদের। যিনি শান্তির কথা বলে গেছেন তাকেই জীবনটা দিতে হল যে দেশের মানুষকে তিনি গভীর ভাবে ভালবেছিলেন, সেই মানুষেরই কিছু অমানুষের হাতে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই। আমরা চাই তার এই দেশটি গড়ে উঠকু উন্নত সমৃদ্ধ হয়ে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন জনগণই শক্তি, জনগণেই ক্ষমতার উৎস। আমি সেই বিশ্বাসে বিশ্বাসী। আর সেই বিশ্বাস নিয়েই আমার পথচলা।
বাংলাদেশ আজকে সারাবিশ্বে শান্তি রক্ষায় অভূতপূর্ব ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ এখন এক নাম্বার সদস্য দেশ হিসাবে সারাবিশ্বের শান্তি রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে বলেও অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে কাজ করতে গিয়ে যারা জীবন দিয়েছে তাদের অবদানের কথাও স্মরণ করেন তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আমরা সব সময় শান্তিতে বিশ্বাস করি। আমরা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে চাই। যেখানে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ৪১ ভাগ ছিল, আজকে তা ১৮.৭ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। যেখানে আমাদের হতদরিদ্র ছিল সেটা এখন আমরা ২৫.৯ ভাগ, সেটা আমরা ৫.৬ ভাগে নামিয়ে এনেছি। ইনশাআল্লাহ এদেশে কোনো মানুষ হতদিরদ্র থাকবে না, গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। প্রত্যেকটা মানুষ অন্তত তাদের মৌলিক অধিকার পাবে। এটা জাতির পিতার লক্ষ্য, সে লক্ষ্য আমরা বাস্তবায়ন করে যাব।
আজ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পিছনে রয়েছে অব্যাহত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারণ একথা সকলকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ১৯৭৫’ এ ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর একের পর এক দেশে ক্যু হয়। সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়। সামরিক অফিসার, বিমান বাহিনীর অফিসার এবং মুক্তিযোদ্ধা; কত মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের হত্যা করে গুম করা হয়। একটা অশান্ত পরিবেশ। প্রতিরাতে কারফিউ। এই ধরনের একটা পরিবেশের মধ্য দিয়ে ২১টা বছর এদেশের মানুষকে কাটাতে হয়েছিল।’