শিরোনাম
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) তৃতীয় নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচনে ৫০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা থাকায় অনিয়ম করতে অনেকে ভয় পেয়েছে।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। রাজধানী লাগোয়া এ সিটির ভোট প্রায় ১১ লাখ ৭৯ হাজার।
দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের মিডিয়া সেলের প্রধান ও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মনজুর হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রথম ছয় ঘণ্টায় প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ধারণা করছি।
আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোট দিয়ে ভোটের পরিবেশ নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করলেও ইভিএমে ধীরগতির কথা বলেছেন। একই ধরনের কথা এসেছে অনেক কেন্দ্রের ভোটারদের কাছ থেকেও।
নির্বাচন কমিশন বলছে, সার্বিক কারিগরি বিষয় দ্রুত সমাধানের পাশাপাশি অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গাজীপুরের ভোট নির্বাচন ভবনে বসে সিসি ক্যামেরায় সরাসরি দেখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান।
শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সিসি ক্যামেরায় দেখছি, শৃঙ্খলার সাথে ভোট হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভোটের এ পর্যন্ত (প্রথম আড়াই ঘণ্টা) ভালোভাবেই ভোট হচ্ছে।’
ভোট শুরুর পর সকাল ১০টার দিকে নগরীর কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট দেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী জায়েদা খাতুন। এসময় তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ ভোটের পরিবেশ ভাল। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। তার ছেলে গাজীপুরের বরখাস্ত মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। তবে কিছু কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, যদিও পরে তারা কেন্দ্রে গেছে। তাদের ভয় দেখানো হয়েছে খবর পেয়েছি।
অন্যদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান ভোট দিয়েছেন টঙ্গীর দারুস সালাম মাদ্রাসার কেন্দ্রে। এসময় তিনি বলেছেন, জনগণের ভালোবাসা থেকে আমি বলতে পারি, জয়-পরাজয় আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আমি বিশ্বাস করি, ফয়সালা আসমান থেকে হয়। আল্লাহ যা চান তা জনগণের মাধ্যমে প্রকাশ করবেন।
তিনি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল থেকে মানুষ ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং একটি সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ভোটের যে কোনো ফলাফল অবশ্যই মেনে নেব। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। সবসময় জনগণের অপিনিয়নের প্রতি আমি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আসছি। আজ জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে, আমি সেটা অবশ্যই মেনে নেব। আমি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সব সময় জনগণের সঙ্গে ছিলাম। সমাজের উন্নয়নমূলক কাজ, শিক্ষামূলক কাজ এবং যখন দুর্যোগ এসেছিল তখন আমি জনগণের পাশে ছিলাম। আমি যেখানে গিয়েছি জনগণ আমার সঙ্গে ছিল। জয়ের বিষয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী।