শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজ সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। মৃত্যুর আগে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দলের প্রতিটি দুঃসময়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে একজন প্রথম সারির কর্মী এবং সফল সংগঠক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
বুধবার (২৩ মে) সাবেক এ এমপির তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মকবুল হোসেন ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছিলেন। নানা নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করে সেই আদর্শ ধারণ করেই সারাজীবন দলের বিভিন্ন পর্যায়ে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠা ও সংগঠিত করার ক্ষেত্রেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে তিনি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন।
সরকারপ্রধান বলেন, একসময় ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর এলাকা ছিল সন্ত্রাস-মাদকের স্বর্গরাজ্য। সেই এলাকার সংসদীয় আসন ঢাকা-৯ থেকে মকবুল হোসেন ১৯৯৬ সালে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর এলাকাকে সন্ত্রাস-মাদকমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। এলাকার সামগ্রিক আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি একাধিক কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা, এতিমখানা এবং মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তিনি বলেন, এলাকাবাসীর সুখ-দুঃখে সবসময় মকবুল হোসেন তাদের পাশে থেকেছেন। তিনি মসজিদ, বাজার, রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং পানি ও বিদ্যুৎ সংকট সমাধান থেকে শুরু করে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন। একজন ধর্মভীরু মানুষ হিসেবে এবং ইসলামি চিন্তা-চেতনায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা এ জননেতার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। দেশ এবং সমাজের কল্যাণে আমৃত্যু নিবেদিতপ্রাণ মকবুল হোসেনের অবদান চিরঅম্লান থাকবে ।
তিনি বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রয়াত এ কর্মবীর, সমাজকর্মী, রাজনীতিককে তার সৎ ও পূণ্য কর্মের জন্য পুরস্কৃত করবেন এ প্রার্থনা করি এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আমি তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ আমাদের সবার প্রতি সহায় হোন।