শিরোনাম
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
দেশের মাছের চাহিদা ও প্রজননের স্বার্থে ২০১৪ সাল থেকে কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
সুন্দরবন অঞ্চলে জুন, জুলাই, আগস্ট- এই তিন মাস মাছ ধরাসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকার সময়ের সঙ্গে সমন্বয় করে এই অঞ্চলে অতিরিক্ত ১২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ সুন্দরবন অঞ্চলে ২০ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মাছ ধরা বন্ধ থাকছে। এ অঞ্চলে ৩ মাস ১২ দিন মাছ ধরা বন্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে বন অধিদপ্তর।
১১ মে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মন্ত্রী বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রধান প্রজননকালে ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হচ্ছে মাছের নির্বিঘ্ন প্রজনন নিশ্চিত করে মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধি করা। এ সময় সব বাণিজ্যিক মৎস্য ট্রলারের সমুদ্রে যাওয়া বন্ধ রাখা হবে। যান্ত্রিক ও আর্টিসানাল মৎস্য নৌযান ঘাটে বাঁধা থাকবে।
স্থানীয় প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও সশস্ত্র বাহিনী মাছ ধরা বন্ধ রাখার কাজে সহায়তা করবে।
সভায় মোট ১২টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তার মধ্যে রয়েছে সমুদ্রযাত্রার প্রবেশপথগুলোতে নজরদারি জোরদার করা, মৎস্য নৌযানের সমুদ্রযাত্রা শতভাগ বন্ধ নিশ্চিত করা, দেশের সমুদ্রসীমায় বিদেশি নৌযানকে মৎস্য আহরণে বিরত রাখা, নৌযান নোঙরস্থলে আবদ্ধ রাখা, সমুদ্রের তীরবর্তী বরফকলগুলো সীমিত পর্যায়ে চালু রাখা, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের সমুদ্রতীরবর্তী মাছ অবতরণকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা, সব মাছ ধরার নৌযানকে পর্যায়ক্রমে ট্র্যাকিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা, সাগরে মাছ ধরায় নিয়োজিত থাকা সব নৌযানকে ১৯ মের মধ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা প্রভৃতি।