শিরোনাম
সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করায় সংস্থাটির প্রতি ঢাকাবাসীর আস্থা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অটল, অদম্য ও অনমনীয় কর্মোদ্যোগের ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সুশাসন নিশ্চিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ মে) বেলা ১১টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ‘উন্নত ঢাকার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ৩ বছর’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেয়র শেখ তাপস বলেন, ঢাকাবাসীর আস্থা বাড়ায় রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আজ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ সংস্থা হিসেবে যেমন নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে, তেমনই তাসের ঘরের মতেই ভেঙে পড়তে শুরু করেছে দীর্ঘদিনের দখলদারত্বের পোক্ত সাম্রাজ্য। আপনাদের সবার সহযোগিতায় আমরা দখলদার সাম্রাজ্যের অবসান ঘটিয়েই এগিয়ে চলবো।
তিনি বলেন, দায়িত্বভার নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতি বাস্তবায়ন করে চলেছি। প্রশাসনিক সংস্কারের আওতায় এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিগত তিন বছরে দুর্নীতি ও অনিয়মসহ নানা অপরাধে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
ডিএসসিসি মেয়র আরও বলেন, গত তিন বছরে প্রয়োজনীয় জনবলের ঘাটতি কমাতে ভারী গাড়ির ১০৯ জন চালকসহ পাঁচশোর বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফলে নাগরিক সেবা প্রদান ও করপোরেশনের নৈমিত্তিক কাজে যেমন গতি এসেছে তেমনি বেড়েছে তদারকি ও উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের হার।
মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হওয়া ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটসহ অনেকগুলো মার্কেটের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানান শেখ তাপস।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, মার্কেটের পাশাপাশি আমরা বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলসহ অনেক খালও দখলমুক্ত করেছি। এসব জায়গা ঘিরে গড়ে ওঠা কয়েক ডজন অবৈধ বহুতল ভবন ও স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দখলমুক্তির ধারাবাহিকতায় আমরা দীর্ঘ ৮০ বছর পর সূত্রাপুরের মাইশা খাল, তিন দশক পর রায় সাহেব বাজার মোড়, দুই যুগ পর লক্ষ্মীবাজারে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পার্কিংয়ের জায়গা, চার দশক পর ধলপুর ক্লিনার কলোনি থেকে অবৈধ দখলদারত্বের অবসান ঘটিয়েছি। গত তিন বছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন শতাধিক উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে ৩৪ একরের বেশি জমি উদ্ধার করেছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য তিন হাজার ১০০ কোটি টাকার বেশি।