শিরোনাম
টানা দাবদাহের পর অবশেষে রাজধানী ঢাকায় ঝরলো স্বস্তির বৃষ্টি। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এ বৃষ্টি শুরু হয়। একইসঙ্গে শুরু হয় কালবৈশাখী। আধাঘণ্টা ধরে চলে এ ঝড়-বৃষ্টি। পৌনে ৬টার দিকে বৃষ্টি থেমে গেলেও কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়তে থাকে।
দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো ঢাকায়ও ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল আবহাওয়া অধিদপ্তরের। শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকার আকাশ কিছুটা মেঘলা ছিল। বিকেল ৫টার পরে দ্রুত বদলে যেতে থাকে আকাশ। বিকেল সোয়া ৫টার মধ্যে কালো মেঘে ঢেকে যায় পুরো ঢাকার আকাশ। এরপর শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড়।
গত ৪ এপ্রিল দেশের ছয় জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ধীরে ধীরে তীব্র হতে থাকে তাপপ্রবাহ। বাড়তে থাকে তাপপ্রবাহের আওতা। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রির ওপরে ওঠে গত ৭ এপ্রিল।
মাঝখানে ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছিল। গত ১৬ এপ্রিল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসম, য গত ৫৮ বছরের মধ্যে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে গত ১৭ এপ্রিল সিলেটে প্রথম স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মেলে। এরপর হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু। এতে জনজীবনে স্বস্তি ফেরে।
এদিকে, রাজধানীতে হঠাৎ বৃষ্টিতে ছেদ পড়ে ফুটপাতের ঈদের বেচাকেনায়। তবে বৃষ্টির শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার জিনিসপত্র নিয়ে বসে পড়েন দোকানিরা।
এর আগে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা বিভাগসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, দিনাজপুর, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও ভোলা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে বলেও জানান শাহীনুল ইসলাম।
এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী তিনদিনে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।