শিরোনাম
বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ২৫ কোটি ৭০ লাখ নারীর নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য গর্ভনিরোধের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ৪৪ শতাংশ নারীর যৌনমিলন, গর্ভনিরোধক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই।
বুধবার জাতিসংঘের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা ইউএনএফপিএর প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বিশ্বের ৬৮টি দেশে চালানো জরিপের ভিত্তিতে ‘স্টেট অব ওয়ার্ল্ড পপুলেশন’ শীর্ষক এ বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ১৯৭৮ সাল থেকে প্রতিবছরই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে আসছে ইউএনএফপিএ। প্রতিবেদনে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং নারী অধিকারের ওপর আলোকপাত করা হয়। প্রতিবেদন তৈরিতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাও সহায়তা করেছে।
এতে বলা হয়, বিভিন্ন দেশের সরকার নারীদের সন্তান জন্মদানে সক্ষমতার হার বাড়ানো, কমানো বা বজায় রাখার লক্ষ্যে নীতি গ্রহণ করছে। কিন্তু এ হারকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা প্রায়ই অকার্যকর হয় এবং তা নারীর অধিকারকে ক্ষুণ্ন করতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে নারীর দেহকে সরকারের নীতি অথবা ‘সতর্ককারীদের বিধিনিষেধ’-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এতে বিশ্বব্যাপী নারীদের নানা সীমাবদ্ধতার চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, প্রায় ২৪ শতাংশ নারী ও মেয়ে সঙ্গম না করার সিদ্ধান্ত জানাতে অপারগ (তাঁদের মতামত নেওয়া হয় না); ১১ শতাংশ নারী গর্ভনিরোধক ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী জনসংখ্যার বিচারে এ বছরের মধ্যভাগেই চীনকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ জনসংখ্যার বিপরীতে ভারতের জনসংখ্যা হবে ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ। বিশ্বের শীর্ষ জনসংখ্যার দেশের নতুন তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।