শিরোনাম
দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৯টায় রেকর্ড ১৫ হাজার ৬২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। এতে দেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে।
মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৯টায় রেকর্ড ১৫ হাজার ৬০৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল, যা ছিল দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড। তবে একদিনের ব্যবধানে ১৫ হাজার ৬২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হওয়ায় আগের সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ডটিও ভেঙে গেল।
পিডিবি সূত্র বলছে, রমজান ও গ্রীষ্মকাল বিবেচনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টার ফল এই নতুন উৎপাদনের রেকর্ড।
তবে রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেড়েছে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ। এতে চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ।
এর আগে দুপুরে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, আগেই ধারণা করা হয়েছিল চলতি বছর গ্রীষ্ম, সেচ মৌসুম ও রোজা একসঙ্গে হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে সরকার পূর্বপ্রস্তুতির স্বাক্ষর রেখেছে বলেও জানান তিনি।
এ ছাড়া গত ৫০ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙে চলমান নজিরবিহীন দাবদাহে ধারণার চেয়েও বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেশি বেড়ে গেছে বলে জানান নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, চাহিদা বাড়ায় দেশের অনেক জায়গায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের বেশি কষ্ট হচ্ছে।
অনাকাঙ্ক্ষিত এই দুর্ভোগের জন্য সহমর্মিতা ও দুঃখ প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি উত্তরণে বিদ্যুৎ বিভাগ সর্বাত্মক কাজ করছে। শিগগিরই আবারও স্বস্তিদায়ক পরিবেশ ফিরে আসবে।