শিরোনাম
তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির একটি বড় কারণ বলে উল্লেখ করেছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, শুধু আইনের আওতায় এনে কিশোর অপরাধ দমন সম্ভব নয়। সামাজিক ও পারিবারিকভাবে সচেতনতা বাড়াতে হবে। শিশু আইনের দুর্বলতার কারণে পুলিশ কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে না।
শনিবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির কারণ নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
‘তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণেই কিশোর অপরাধ বাড়ছে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে সরকারি দল হিসেবে মান্দা থানা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও বিরোধী দল হিসেবে সামসুল হক খান স্কুলের বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন। বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ছায়া সংসদ বিতর্কে মান্দা থানা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় বিজয়ী হয়।
এসময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি একটি বড় কারণ তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার। শুধু আইনের আওতায় এনে কিশোর অপরাধ দমন সম্ভব নয়। সামাজিক ও পারিবারিকভাবে সচেতনতা বাড়াতে হবে। শিশু আইনের দুর্বলতার কারণে পুলিশ কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে না।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা যারা বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছ ভবিষ্যতে হয়তো তোমাদের মধ্যে কেউ দেশ পরিচালনা করবে। কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার জানতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহারসহ পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনের অভাবে কিশোর গ্যাং কালচার তৈরি হচ্ছে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশজুড়ে পাড়ায়-মহল্লায়, রাস্তার মোড়ে মোড়ে কিশোর গ্যাং সদস্যদের আড্ডাবাজি হর হামেশাই চোখে পড়ে। কিশোর গ্যাং সদস্যরা নিজ নিজ এলাকায় বিভিন্ন রকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার কিশোর অপরাধের মাত্রা বেড়ে চলছে। কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত করে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।