শিরোনাম
মহান স্বাধীনতা দিবসে এক শিশুর ছবির সঙ্গে ভিন্ন একজনের বক্তব্য সংযোজন করে ফটোকার্ড বানিয়ে সংবাদ প্রকাশে প্রথম আলোর দায়িত্বহীন ও অপেশাদার সাংবাদিকতার ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে জাতীয় প্রেস ক্লাব গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেফতারে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতীয় প্রেস ক্লাব।
রোববার (২ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় বলা হয়, শীর্ষস্থানীয় একটি সংবাদপত্রের কাছে এ ধরনের অপেশাদার ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। যা খুবই দুঃখজনক। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সঙ্গে দায়িত্বশীলতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রথম আলোর মত একটি পত্রিকার কাছে সবাই দায়িত্বশীলতা আশা করে।
সেই সঙ্গে সাংবাদিকদের ওপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহারে গভীর উদ্বেগ জানায় কমিটি। সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যমের বেলায় এই আইন প্রয়োগের আগে উত্থাপিত অভিযোগটির প্রাথমিক সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তা প্রেস কাউন্সিলে পাঠানোর প্রয়োজন ছিল বলে মনে করে কমিটি।
এছাড়া বৈঠকে সুনির্দিষ্ট সুপারিশের আলোকে দ্রুত এই আইনের কিছু ধারা সংশোধন এবং আইনটির অপপ্রয়োগ বন্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। কমিটি আশা করে, দ্রুত এই পরিস্থিতির অবসান হবে। বৈঠকে সম্প্রতি বিএনপির একটি ইফতার মাহফিলের সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলারও তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সিনিয়র সহসভাপতি হাসান হাফিজ, যুগ্ম সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, আশরাফ আলী, সদস্য ফরিদ হোসেন, শাহনাজ সিদ্দীকি সোমা, কল্যাণ সাহা, সৈয়দ আবদাল আহমদ ও মোহাম্মদ মোমিন হোসেন প্রমুখ।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় জাকির হোসেন নামে এক দিনমজুরের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘কার্ড’ তৈরি করা হয়। বলা হয়, ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কি করুম? বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’
সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও, ছবি দেয়া হয় একটি শিশুর। ১৭ মিনিটের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটে প্রথম আলো। খবরটি সংশোধন করে তারা। কিন্তু ততক্ষণে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।