‘দেশের ভাবমূর্তিতে কোনো আঁচড় পড়বে না’

ফানাম নিউজ
  ৩০ মার্চ ২০২৩, ২৩:১৪

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, সাংবাদিক গ্রেপ্তারের ঘটনায় পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর উদ্বেগ প্রকাশে দেশের ভাবমূর্তিতে কোনো আঁচড় পড়বে না।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘আইওসি রিজিওনাল কমিটি ফর দ্য সেন্ট্রাল ইন্ডিয়ান ওশান (আইসিওআইএনডিও)-এর নবম আন্তঃসরকারি অধিবেশনের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ব‌লেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের যে অর্জন শুধু অর্থনৈতিক নয়, অ্যাকাউন্টিবিলিটির ক্ষেত্রেও আমাদের যে অর্জন, পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশই তা পারেনি। সে জায়গা থেকে আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এসব বিষয়ে আমাদের ভাবমূর্তিতে ন্যূনতম আঁচড়ও পড়বে না।

শাহ‌রিয়ার আলম বলেন, প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব চ্যালেঞ্জ রয়েছে; সেই চ্যালেঞ্জ নিজস্ব উপায়ে আমরা মোকাবিলাও করছি; স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ইস্যুতে সকলের দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত।

উল্লেখ্য, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে। তাকে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে নেয়া হলে শুনানি শেষে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পক্ষ থেকে কোনো রিমান্ড আবেদন করা হয়নি।

এর আগে উদ্দেশ্যমূলক নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশের দায়ে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, প্রথম আলোর সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

বুধবার (২৯ মার্চ) গভীর রাতে মামলাটি করেছেন আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রমনা থানার পরিদর্শক আবু আনছারকে।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় জাকির হোসেন নামে এক দিনমজুরের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘কার্ড’ তৈরি করা হয়। বলা হয়, ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কি করুম? বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’

সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও, ছবি দেয়া হয় এক শিশুর। ১৭ মিনিটের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটে প্রথম আলো। খবরটি সংশোধন করে তারা। কিন্তু ততক্ষণে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এরপরই একটি বেসরকারি টেলিভিশন বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায়, দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদনটিতে যা পরিবেশন করা হয়েছে, সেটি ভুল। শিশু জাকির হোসেন আসলে দিনমজুর নয়, একটি স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী, আর তার নাম সবুজ। টাকার বিনিময়ে তার ছবি তোলা হয়েছে।