শিরোনাম
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ই-মেইল সার্ভারে ক্ষতিকর সফটওয়্যার র্যানসমওয়্যার আক্রমণ করেছে। গত শুক্রবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও বুধবার পর্যন্ত সার্ভারটি উদ্ধার করা যায়নি।
বিমানের কর্মকর্তারা বলছেন, সাবধানতার সঙ্গে বিষয়টি সমাধানের কাজ চলছে। একটু অসাবধান হলেই পুরো সার্ভার অকেজো হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
র্যানসমওয়্যার আক্রমণের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। তবে তদন্ত কমিটি নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি প্রতিমন্ত্রী।
র্যানসমওয়্যার এক ধরনের ম্যালওয়্যার (ক্ষতিকর ভাইরাস), যা কোনো কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভে ঢুকে সব ফাইল এনক্রিপ্ট বা লক করে দিতে পারে। ফলে কম্পিউটার ব্যবহারকারী আর নিজের ফাইলে প্রবেশ করতে পারেন না। হ্যাকাররা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে র্যানসম বা মুক্তিপণ দাবি করে।
জানা গেছে, এই মুহূর্তে র্যানসমওয়্যার বিমানের প্রত্যেক কর্মকর্তাকে পাঠানো সব ই-মেইলে প্রবেশ করতে পারছে। এসব ই-মেইলে উড়োজাহাজ, রুট, ক্রু, পাইলট, বিমানবন্দর, সময়সূচি, যাত্রী, ক্রয় ও বিলিং সম্পর্কে সংবেদনশীল তথ্য রয়েছে।
বিমানের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে জানিয়েছেন, গত শনিবার থেকে কার্যত তাঁদের হাত বাঁধা রয়েছে। এ বিষয়ে কিছুই করতে পারছেন না তাঁরা।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অতিরিক্ত সচিব শফিউল আজিম জানান, ই-মেইল সার্ভারে র্যানসমওয়্যার আক্রমণ করেছে। নিয়ন্ত্রণে আনতে সাবধানতার সঙ্গে কাজ চলছে। বিমানের ই-মেইল সার্ভারে ভাইরাস আক্রমণের কারণে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়। তবে বিমানের কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। ওয়েবসাইট, রিজার্ভেশন সিস্টেম এবং টিকিটিং সিস্টেম চালু আছে। সার্ভার কয়েক দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।
হ্যাকাররা মুক্তিপণ দাবি করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি হ্যাকিংয়ের কোনো ঘটনা নয়। বিমানের ই-মেইল সার্ভার থেকে কোনো তথ্য বা উপাত্ত চুরি হয়নি এবং কেউ মুক্তিপণও দাবি করেনি।