শিরোনাম
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগার ঘটনা নাশকতা কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আগামী ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, দেখুন, এটি কোনো নাশকতা কি না, ষড়যন্ত্র কি না, সেটি আমরা দেখছি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তারা সিলিন্ডারে রান্নাবান্না করেন। সেখানে পাশেই আমাদের সাতটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে আগুন লাগলে নিমেষেই শেষ হয়ে যায়। ঘটনাটি সে রকমই ঘটেছে।
তিনি বলেন, তবে কীভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তা আমরা তদন্ত করছি। তাতে যদি কোনো নাশকতা, ষড়যন্ত্র কিংবা অন্য ধরনের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়, সেগুলো আমরা দেখবো। সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। যারা গৃহহারা হয়েছেন, তাদের জন্য আপাতত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা ভাসানচরে বিশাল একটি ব্যবস্থা রেখেছি, যারা স্বেচ্ছায় যেতে চান, তাদের সেখানে নিয়ে যাচ্ছি।
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জলসায় হামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেখানে সাতটি মামলা হয়েছে। ৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বিএনপি নেতা ফজলে রাব্বি আছেন। তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে সমাবেশটি বন্ধ করতে আসছিলেন। ঘটনাগুলোর নেপথ্যে তিনিও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে যারা গুজব ছড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ২৬ মার্চ সাভারে যাবেন। বিদেশি কূটনীতিকরাও সেখানে যাবেন। তাদের যাওয়ার পথে নিরাপত্তাব্যবস্থা যাতে সমুন্নত থাকে, তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা বাহিনীকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেখানে যা প্রয়োজন, রাস্তাঘাট ব্যবস্থা সুন্দর করা, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কার্যক্রম বৃদ্ধি করা, এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ দুটি দিবস উদযাপন নিয়ে কোনো হুমকি আছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা জানিয়েছেন তাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। তবে তথ্য থাকুক বা না থাকুক, তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। সারাদেশের মানুষ যাতে গণহত্যা দিবস ও স্বাধীনতা দিবস পালন করতে পারেন, সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আসাদুজ্জামান খান জানান, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে এক মিনিটের জন্য সব ধরনের আলো বন্ধ হয়ে যাবে। রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে এ ব্ল্যাকআউট থাকবে।
‘তবে নির্মাণকাজ চলায় জাতীয় স্টেডিয়ামে ২৬ মার্চের কুচকাওয়াজ বন্ধ থাকবে। আর বঙ্গভবনে যে সংবর্ধনা, সেটা হবে। ঢাকায় আলোকসজ্জা থাকবে, প্রত্যেকবারের মতোই এবার সেটা করা হচ্ছে। ২৫ মার্চ রাতে আলোকসজ্জা হবে না, কিন্তু ২৬ মার্চ আলোকসজ্জা থাকবে। হাসপাতাল আলোকসজ্জার বাইরে থাকবে।' যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।