শিরোনাম
রাত ২টা ৪১ মিনিট। রাজধানী যাত্রাবাড়ীর মিরহাজীরবাগ এলাকায় একটি গলিতে বসে মোবাইল ফোন চালাচ্ছিলেন শাওন (২৮)। এমন সময় দুই যুবক এসে শাওনের আশপাশে হাঁটাহাঁটি শুরু করেন। এর ৪৫ সেকেন্ড পর হঠাৎ পকেট থেকে সুইচ গিয়ার (চাকু) বের করে শাওনের বুকে সরাসরি আঘাত করেন নাবিল নামের এক যুবক। পরে সেখান থেকে শাওনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শাওনকে ছুরিকাঘাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সিসি ক্যামেরার একটি ফুটেজ গণমাধ্যমের হাতে এসেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি গত রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ২টা ৪১ মিনিটের দিকে। মিরহাজীরবাগ আবু হাজী স্কুলের গলি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত শাওনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘাতক নাবিলকে গ্রেফতার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, রোববার দিনগত রাত ২টা ৪১ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে বসে থাকা শাওনের কাছে আসে নাবিলসহ দুজন। কিছুক্ষণ তারা শাওনের পাশেপাশে হাঁটাহাঁটি করতে থাকেন। এর ৪৫ সেকেন্ড পর হঠাৎ পকেট থেকে সুইচ গিয়ার বের করে শাওনের বুকে সরাসরি আঘাত করে নাবিল। দ্বিতীয়বার ছুরিকাঘাত করতে গেলে শাওন সরে যান। তৃতীয়বার আঘাত করতে গেলে শাওন উঠে দাঁড়ান। পরে দৌড়ে পালিয়ে গেলেও কিছুক্ষণ পর পাশের একটি গলি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ডেমরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মধুসূদন দাস বলেন, নিহত শাওন ও ঘাতক নাবিল দুজনই মাদক কারবারি ও মাদকসেবী। তারা দীর্ঘদিন ধরে যাত্রাবাড়ী এলাকায় মাদক কারবার করে আসছিল। মাদক নিয়ে ঝামেলার কারণে কিছুদিন আগে নাবিলকে চর থাপ্পড় দেয় শাওন। এর প্রতিশোধ নিতে শাওনকে হত্যার পরিকল্পনা করে নাবিল। পরিকল্পনা মোতাবেক শাওনকে একা পেয়ে নাবিল সুইচ গিয়ার দিয়ে শাওনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
তিনি বলেন, ঘটনার পরদিন (সোমবার) সকালেই আসামি নাবিল কক্সবাজার পালিয়ে যায়। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে। শাওন হত্যার ঘটনায় এরই মধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন নাবিল।