শিরোনাম
পুলিশের চাকরি করে বই পড়া কষ্টকর বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, ‘প্রতিবারই বইমেলা থেকে বই কিনি। দিন দুয়েক চেষ্টা করি পৃষ্ঠা উল্টানোর। এরপর ওই বই কোথায় যে চলে যায় আর খোঁজে পাই না। এখন কঠিন সময় হলো ফেসবুক-ইউটিউব এসে এক মিনিট, দুই মিনিটের ক্লিপগুলো দেখার সময় পাওয়া যায়। কিন্তু পুলিশের চাকরি করে একটা বই এতক্ষণ পড়া কষ্টকর।’
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমির সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ সভাকক্ষে রমনা ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জয়নুল আবেদীনের লেখা ‘মনকবি মিউজিক’র প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পুলিশে চাকরি করে পড়াই কষ্টকর। আর তিনি একটা বই লিখে ফেলেছেন। কতটা ধৈর্য্য, মেধা ও কষ্ট করলে এটা সম্ভব, তা পুলিশে যারা চাকরি করেন, তারা ভালো বুঝবেন। ঢাকা মেট্রোপলিটনের একজন সহকর্মীর এমন পারদর্শিতায় আমি গর্বিত।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশের চাকরি করে এর আগে অনেকেই জনপ্রিয় হয়েছেন। তবে গীতিকার হিসেবে আমার মনে হয় এই প্রথম জয়নুল আবেদীন গীতিকাব্য লিখেছেন। এটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী কাজ, যা অনেকের সাহস হয়ে উঠে না। কিন্তু তিনি এটা করে দেখিয়েছেন।’
লেখকের উদ্দেশ্যে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘তিনি জন্মগতভাবে একজন লেখক। কবিতা, গান লিখেছেন। এক কথায় বলতে পারি তিনি একজন সব্যসাচী লেখক। সুরকার ও গীতকারদের প্রতি আমার আহ্বান, তার লেখা গানগুলোকে সুর দেবেন।’