শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা মহানগরীর সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিশেষ অবদান রয়েছে।
ডিএমপির ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মেগাসিটি বৈচিত্র্যময় মহানগরী ঢাকার সার্বিক নিরাপত্তা, উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে বিনিয়োগবান্ধব স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ অবদান রয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনে জয়লাভের পর ধারাবাহিকভাবে গত ১৪ বছর সরকারে থাকার ফলে পুলিশের আধুনিকায়নে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়েছে। পুলিশের প্রায় সব ইউনিটের কাঠামো সংস্কারসহ নতুন পদ সৃষ্টির মাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রাপ্তির জটিলতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করেছি।
সরকারপ্রধান বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাইবার অপরাধ দমনে আন্তর্জাতিক মানের সক্ষমতা অর্জনে পুলিশকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। এর ফলে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও স্থানীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও পুলিশের গৌরবোজ্জ্বল সাফল্য বাংলাদেশকে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে অনন্য মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের সরকার করোনা মোকাবিলা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় অর্থনৈতিক নীতিমালা শক্তভাবে ধরে রাখতে এবং সেই সঙ্গে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সফলতার সঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ এরই মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের মানবিক অবদান জাতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, মাত্র ১২টি থানা নিয়ে গঠিত ডিএমপি বর্তমানে ৫০টি থানার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের সরকার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে আধুনিক, যুগোপযোগী ও দক্ষ করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। জঙ্গিবাদ দমনে ডিএমপির দক্ষ ও চৌকস ইউনিট কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) অবদান এখন সর্বমহলে প্রশংসিত। পরিবর্তিত অপরাধের ধরনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ডিএমপি বেশ সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জনগণের সেবা করাই পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের পবিত্র দায়িত্ব। দেশের স্বার্থে, মানুষের সেবায়, দেশের কল্যাণে ও উন্নয়নে যেন কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে, কোন ক্ষেত্রে যেন কেউ আমাদের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে না পারে, সেদিকে বিশেষভাবে আপনাদের দৃষ্টি দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা মানবিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ তথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে অন্যতম নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করবেন।