শিরোনাম
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের কোথাও আর নতুন করে রাস্তা নির্মাণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘ডিসিদের আমি জানিয়ে দিয়েছি, আগামী নির্বাচনের আগে আর কোনো নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হবে না। যে রাস্তাগুলো বিদ্যমান, সেগুলো মেরামত করতে চাই। ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে চাই। যেগুলো আছে, তা মেরামত করা আমাদের প্রথম ও প্রধান কাজ।’
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের ষষ্ঠ অধিবেশন শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘হাইওয়েতে ছোট যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে এনে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে হবে। ঢাকায় আমরা মোটরসাইকেল ৯৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এখানে চালক ও আরোহী হেলমেট পরছেন। তবে মফস্বলে মোটরসাইকেলে তিনজন চলাফেরা করলেও সেখানে কারও মাথায় হেলমেট থাকছে না। এসব বিষয় দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রায়ই দেখি, অটোরিকশা দুর্ঘটনা হলেও ১০-১২ জন মারা যান। এত মানুষ হয়তো বড় কোনো দুর্ঘটনায় মারা যান না। বর্তমানে দুর্ঘটনার হার কমলেও এতে মৃত্যুর হার বেড়েছে। এর জন্য মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, নসিমন, করিমন, ভটভটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে বলা হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর বিষয়টিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। অনেক রাস্তা হয়েছে, অনেক সেতু হয়েছে। শৃঙ্খলা না এলে এসব সাফল্য ম্লান হয়ে যায়। এজন্য আমি শৃঙ্খলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। এটি নিশ্চিত করতে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এরপর ব্রিফ করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, ‘রেলকে আমরা দেশের সব জেলার সঙ্গে সংযুক্ত করতে চাই। আমাদের দেশে দুই ধরনের রেলব্যবস্থা রয়েছে। একটি ব্রডগেজ, আরেকটি হলো মিটারগেজ। আমরা সব ব্রডগেজে রূপান্তর করতে চাই। ভারতে সঙ্গে ইন্টার সেকশন পয়েন্ট ১৯৬৫ সালে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেগুলো আবারও সচল করতে চাই। দুই দেশের চাহিদা অনুযায়ী নতুন কোনো রেলসংযোগ স্থাপন করা হবে।’