শিরোনাম
টাঙ্গাইলের কালিহাতির কিশোরী পারুল আক্তার ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন প্রতিবেশী এক তরুণকে। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি মেয়েটির বাবা। বিয়ের তিন বছর পর তিনি কৌশলে মেয়েকে নিজের কাছে নিয়ে যান। এরপর জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে নিয়ে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
২০১৫ সালের এ ঘটনায় জড়িত মেয়েটির বাবা আবদুল কুদ্দুছ খাঁ ও তার সহযোগী মোকাদ্দেছ ওরফে মোকা মন্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তার দু'জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ঘটনার শুরু ২০১২ সালে। সেই বছর পারুল আক্তার একই এলাকার নাছির উদ্দিন ওরফে বাবুর সঙ্গে পালিয়ে ঢাকায় এসে বিয়ে করে। এ ঘটনায় কুদ্দুছ খাঁ কালিহাতি থানায় জিডি করেন। উভয়ের পরিবার বিয়ে মেনে না নেওয়ায় তারা ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়ায় থাকতে শুরু করে। চাকরি নেয় পোশাক কারখানায়। পারিবারিক অশান্তি চলতে থাকে। পারুল তার বাবাকে ফোন করে অশান্তির কথা জানায়। মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন বাবা। সেইসঙ্গে ছিল অপমান বোধ ও রাগ।
একপর্যায়ে তিনি মেয়েকে ভালো ছেলে দেখে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখান। ২০১৫ সালের ১৮ জুলাই নাসির তার নানীকে দেখতে যান। সেই সুযোগে পারুল ১৯ জুলাই তার বাবাকে ফোন করে টাঙ্গাইলে চলে যান। সেদিন তার স্বামী নাছির উদ্দিন স্ত্রীকে বাবার বাড়ি চলে যেতে প্ররোচনার অভিযোগে আশুলিয়া থানায় জিডি করেন। ওদিকে ১৯ জুলাই কুদ্দুছ মেয়েকে নিজ বাড়িতে না নিয়ে বন্ধু মোকা মন্ডলের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে নিয়ে যান। সেখানে মেয়েকে বোঝানো হয়, কিছুদিন তাকে নাছিরের কাছ থেকে পালিয়ে থাকতে হবে। সেজন্য তাকে নিয়ে কুদ্দুছ খাঁ ও মোকা মন্ডল জয়পুরহাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পাঁচবিবি এলাকায় একটি নদীর পাশে নির্জন জায়গায় রাতের বেলা পারুলকে তার বাবা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এরপর মোকা মন্ডলের সহযোগিতায় গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।