শিরোনাম
উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মুফতি কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের মুক্তিতে বাধা নেই। তার বিরুদ্ধে থাকা আরও দুই মামলায় তিনি জামিনে থাকায় তার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম জুলফিকারের আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দোষ স্বীকার করেন কাজী ইব্রাহিম। দোষ স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা করায় বিতর্কিত বক্তা মুফতি কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম গ্রেফতারের পর থেকে এ পর্যন্ত যে কারাভোগ করেছেন তা সাজা হিসেবে নেন আদালত।
কাজী ইব্রাহিমের আইনজীবী শওকত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, মুফতি কাজী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। তিনি আজ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দোষ স্বীকার করায় আদালত তাকে গ্রেফতারের পর থেকে এ পর্যন্ত যতদিন কারাভোগ করেছেন তা সাজা হিসেবে গণ্য করেছেন।
এছাড়া রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার প্রতারণা ও শেরেবাংলা নগর থানার মাওলানা নূরুল ইসলাম ফারুকী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এ দুই মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন। এ দুই মামলায় হাজিরা পরোয়ানা (পিডাব্লিউ) প্রত্যাহারের আবেদন করবো মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি)। পিডাব্লিউ প্রত্যাহার হলেই তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন। এখন তার মুক্তিতে আর বাধা নেই।
এর আগে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম জুলফিকারের আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দোষ স্বীকার করেন কাজী ইব্রাহিম। দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করায় বিতর্কিত বক্তা মুফতি কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের গ্রেফতারের পর থেকে এ পর্যন্ত কারাভোগকেই সাজা হিসেবে গণ্য করেন আদালত। সে হিসেবে তার এক বছর তিন মাস ১৯ দিনের কারাভোগের সাজা হয়।
এরপর ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালমাটিয়ার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। হিসাব করলে দেখা যায়, গ্রেফতারের পর থেকে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তার এক বছর তিন মাস ১৯ দিনের কারাবাস হয়, যা দণ্ড হিসেবে নেন আদালত।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, কাজী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/৩১/৩৫ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ ধারাগুলোর সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছরের কারাদণ্ড। যেহেতু তিনি দোষ স্বীকার করেছেন সেহেতু বিচারক সন্তুষ্ট হয়ে তার কারাভোগটাই সাজা হিসেবে নিয়েছেন।