শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষ যাতে অন্তত খাদ্যের কষ্ট না পায়, সেজন্য সরকার সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিয়েছে। যত অর্থই লাগুক, আমরা বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকেই খাদ্য কিনছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কিছু সমস্যারও সম্মুখীন হচ্ছি, তবে জনগণকে কষ্ট পেতে দেবো না।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক মন্দার কারণে সারাবিশ্বে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও বাংলাদেশে কিছুটা কমেছে। দেশে বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহ ভালো। বিদেশিরাও এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে থেকে আসা প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে এসে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রবাসী নেতাদের দেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য আমরা যৌথ পদক্ষেপ নিয়েছি। সারাদেশে ১০০ অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করেছি। যারা আগ্রহী, তারা এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন। একজন অংশীজনের সঙ্গেও বিনিয়োগ করতে পারেন। আপনারা যত বেশি বিনিয়োগ করবেন, দেশ তত বেশি সুফল পাবে।’
প্রধানমন্ত্রী হুন্ডির পরিবর্তে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান। এসময় সরকারপ্রধান দুর্যোগে অথবা যেকোনো প্রয়োজনে প্রবাসীদের অবদানের কথা স্মরন করেন।
দেশে আমন ধানের উৎপাদনে সন্তোষ প্রকাশ করে সরকারপ্রধান বলেন, দেশে এবার আমনের ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকরা এখন বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। দেশে সারের পর্যাপ্ত মজুতও রয়েছে। এ মৌসুমেও ভালো ফলন হবে বলে আশা করি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে কেউ যাতে গৃহহীন না থকে, সেজন্য জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে সরকার প্রত্যেককে গৃহায়ণ কর্মসূচির আওতায় আনতে কাজ করছে। পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য সংস্থা গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিতে সরকারের সঙ্গে হাতে হাত রেখে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রত্যেকে দেশকে সম্মৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে ভালো কাজ করছেন। সরকার এরই মধ্যে প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ দিয়েছে। সেচের জন্য ছোট সোলার প্যানেল স্থাপনের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।