শিরোনাম
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমাদের রয়েছে যুদ্ধ জয়ের এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। যার মূলমন্ত্রকে বুকে ধারণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ জাতির গর্ব ও আস্থার প্রতীক।
তিনি বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৯ ডিসেম্বর থেকে শীতকালীন প্রশিক্ষণের উদ্দেশে নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন হয়েছে ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) শীতকালীন প্রশিক্ষণ এলাকা সাভার মিলিটারি ফার্মে ফিল্ড হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন করে তিনি এসব কথা বলেন।
সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, শীতকালীন প্রশিক্ষণের উদ্দেশে সারাদেশে স্ব-স্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সেনাসদরসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব ফরমেশন মোতায়েন হয়েছে।
গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে তিন সপ্তাহের জন্য নতুন উদ্যমে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়। জাতির গর্ব এবং আস্থার প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘যুদ্ধ পারঙ্গমতা, যুদ্ধোপযোগিতা ও রণপ্রস্তুতি প্রদর্শন’।
সেনাপ্রধান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে লাখো মানুষের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ‘জনযুদ্ধের’ এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, ২০১২ সালে সেনাবাহিনী পর্যায়ে শীতকালীন প্রশিক্ষণের পর গত বছর সেনাবাহিনী প্রধানের নির্দেশে প্রথমবারের মতো লজিস্টিকস এফটিএক্স ও ১০ বছর পর এ বছর এতো বৃহৎ পরিসরে প্রশিক্ষণ পরিচালিত হচ্ছে, যা সেনাবাহিনীর সক্ষমতা এবং নির্ভরযোগ্য রণপ্রস্তুতির বাস্তব বহিঃপ্রকাশ।
সেনাবাহিনী প্রধান ফিল্ড হেডকোয়ার্টার পরিদর্শনের আগে ৬ স্বতন্ত্র এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ব্রিগেড এবং ৮৬ স্বতন্ত্র সিগন্যাল ব্রিগেডের শীতকালীন প্রশিক্ষণ এলাকা আশুলিয়ার দত্তপাড়া পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি ৯০০ জন অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। এছাড়া বিনামূল্যে স্থানীয় ৪৬৩ জনকে মেডিকেল চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়।
শীতকালীন প্রশিক্ষণ শেষে আগামী ৬ জানুয়ারি সেনানিবাসে প্রত্যাবর্তন করবেন সেনাসদস্যরা।
পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলম, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ মেজর জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ, চিফ কনসালটেন্ট জেনারেল এডহক কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট মেজর জেনারেল এ কে এম রেজাউল মজিদসহ সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।