শিরোনাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুপরিকল্পিত ও দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই পূর্ব পাকিস্তানের অসহায় জাতির ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছিল। তিনি শত বঞ্চনা সহ্য করে বাঙালির জাতির মুক্তি এনে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে দেশ ২০০০ সালের মধ্যেই উন্নত দেশে পরিণত হতো। কিন্তু ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে মূলত বাংলাদেশের স্বপ্নকেই ধ্বংস করা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রেতাত্মা যারা ২৫ বছর শাসন শোষণ করেছে তারা আবার দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যত ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তানিরা আমাদের খুবই নিম্ন শ্রেণির মানুষ হিসেবে গণ্য করতেন। সব বিষয়ে আমাদের সঙ্গে বৈষম্য ছিল। এমনকি বাঙালিদের ঋণও দেওয়া হতো না। এগুলো প্রকট থেকে প্রকটতর হতে থাকে। যার চূড়ান্ত ফল স্বরূপ বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমাদের এই মহান বিজয়। দেশকে ভালোবাসতে হলে, মানুষকে ভালোবাসতে হলে মুক্তিযোদ্ধাদের ভালোবাসতে হবে।
‘পাকিস্তানের চেয়ে প্রায় সব সূচকেই বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। সামরিক বাহিনীর শাসনে কোনো দেশ উন্নতি করতে পারেনি। পাকিস্তান কখনোই বাংলাদেশের সমকক্ষ হতে পারবে না।’
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সব খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাঙালি এখন আর ফকির-মিসকিনের জাতি নয়। সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আজ মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করলেই প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারবো।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর এবং অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী। এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।