সম্পর্ক ভালো বলেই যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পরামর্শ দেয়: মোমেন

ফানাম নিউজ
  ২১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৩:১৪

ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। আমাদের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক থাকার জন্যই তারা (ওয়াশিংটন) আমাদেরকে নানা বিষয়ে পরামর্শ দেয়।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএস) এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে বহু দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ রয়েছে। চলতি বছরই আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি বৈঠক হয়েছে।

নতুন করে আরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে সরকার উদ্বিগ্ন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখানে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু নেই।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হাজারো নিষেধাজ্ঞা দেয় এবং তাদের নিষেধাজ্ঞা এক দিক দিয়ে আসে এবং অন্য দিক দিয়ে যায়। এমন অনেক উদাহরণ আছে যে, যুক্তরাষ্ট্র বহু ক্ষেত্রে আবার তাদের নিষেধাজ্ঞা তুলেও নিয়েছে।

‘রিসার্চ করোকিয়াম ২০২২’ শীর্ষক এই সেমিনার আয়োজন করে বিআইআইএস। এতে সংগঠনের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন ও মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।

তিনটি অধিবেশনে অনুষ্ঠিত হয় সেমিনার। প্রতিটি অধিবেশনে তিনজন করে বক্তা বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট তাদের সাম্প্রতিক গবেষণালব্ধ বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন।

প্রথম অধিবেশন ছিল বাংলাদেশের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের ওপর। এতে সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএস চেয়ারম্যান। দ্বিতীয় অধিবেশন ছিল নিরাপত্তা ও কৌশলগত বিষয়ের ওপর। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের সাবেক চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল (অব.) মো. আব্দুল মুবিন। তৃতীয় অধিবেশন ছিল ‘কূটনীতি ও আলাপ-আলোচনা’-র ওপর। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।

আলোচনা ও উপস্থাপনায় বক্তারা জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর ওপর আলোকপাত করেন। যাতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নসংক্রান্ত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এলডিসি-তে উত্তরণ, জলবায়ু কূটনীতি ও কপ-২৭, সাইবার নিরাপত্তা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং মার্কিন-চীন প্রতিযোগিতাসহ কিছু প্রাসঙ্গিক ইস্যুও আলোচনায় স্থান পায়। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের বিদেশি মিশনগুলো রপ্তানি ও বাজার বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। বক্তারা অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।