শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে সূচিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ’ নামক জাতি রাষ্ট্র গঠনের লড়াই, যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ও স্বাধীনভাবে ভাষাচর্চার অনুকূল পরিবেশ। বাংলাভাষার সমৃদ্ধিতে তিনি কতটা সচেতন ও উদ্যোগী ছিলেন- তার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ভাষণগুলো বিশ্লেষণ করলেই তা অনুধাবন করা যায়।’
ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ এর ৩০ বছর পূর্তিতে তিনি বিভাগের সাবেক ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
সরকার দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ, নৈতিক মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন আগামী প্রজন্ম এবং একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দেশের সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এনেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরেছি। নারী শিক্ষা প্রসারে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করছি। ২০১৭ সাল থেকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পাঠ্যপুস্তকসহ পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় রচিত পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আধুনিক বিশ্বে ভাষাকে অত্যন্ত কার্যকর সম্পদ বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ভাষা গবেষণা ও চর্চার মধ্যদিয়ে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে আসছে। বাংলাভাষাকে প্রযুক্তি ঘনিষ্ঠ করার ক্ষেত্রে সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলছে। ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এক্ষেত্রে নানাভাবে ভূমিকা রেখেছেন এবং ভবিষ্যতেও এটি অব্যাহত থাকবে।
সবার সম্মিলিত চেষ্টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমরা সক্ষম হবো। ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ এর ৩০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য এবং সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।