শিরোনাম
বাংলাদেশের নৌপরিবহন খাত আরও আধুনিক, যুগোপযোগী ও পরিবেশবান্ধব করার জন্য যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) লন্ডনে ব্রিটিশ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এভিয়েশন, মেরিটাইম ও সিকিউরিটি বিষয়ক মন্ত্রী (পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি) ব্যারনেস ভেরি অফ নরবিটনের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের অনুরোধে ব্রিটিশ টেকনিক্যাল কো অপারেশন এইড এর সহযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশে মেরিন একাডেমির যাত্রা শুরু হয়। প্রতিমন্ত্রী দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশের নৌপরিবহন সেক্টরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিশেষ করে বাংলাদেশি নাবিকদের সার্টিফিকেট অফ কম্পিটেন্সির মিউচুয়াল রিকগনিশনের জন্য অনুরোধ জানান। এছাড়াও বাংলাদেশি নাবিকদের যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বন্দরে অন এরাইভাল ভিসা দেওয়ার জটিলতা দূর করার অনুরোধ জানান।
বৈঠকে ব্রিটিশ মন্ত্রী বাংলাদেশের নৌপরিবহন সেক্টরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত উদ্যোগ সমূহের বিশেষ করে বাংলাদেশের ১৬০০০ নাবিক এবং ১৪টি মেরিন ইন্সিটিউট থেকে বছরে ৫০০০ এর বেশি মেরিনার এবং ১০০ নারী মেরিনারের উপস্থিতির প্রশংসা করেন। ব্রিটিশ মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
এছাড়াও মন্ত্রীদ্বয় দুদেশের মেরিটাইম ইন্সিটিউটের মধ্যে গবেষণা ও প্রশিক্ষণে সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। দুই মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় মেরিটাইম সেক্টরে ডিকারবোনাইজেশনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।
ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডোর মো. নিজামুল হক উপস্থিত ছিলেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অরগানাইজেশনের ১২৮তম কাউন্সিলে অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাজ্য সফর করছেন।