শিরোনাম
বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যার ঘটনায় তিন দিনেও জট খোলেনি। ইতোমধ্যে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি তার বান্ধবী বুশরাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে কে বা কারা কেন তাকে হত্যা করেছে- জানা যায়নি এসব প্রশ্নের উত্তর।
পুলিশের ধারণা, ফারদিন মৃত্যুর নেপথ্যে থাকতে পারে প্রেম। তাই প্রধান আসামি বান্ধবী বুশরাকে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
এদিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর রামপুরা টিভি ভবনের সামনের রাস্তা দিয়ে রিকশায় যাচ্ছিলেন বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন। সঙ্গী ছিলেন তার বান্ধবী ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমাতুল্লাহ বুশরা।
গত শুক্রবার রাত ১০টা ৫৯ মিনিটে ফারদিনের মোবাইল ফোনে সর্বশেষ একটি মেসেজ (খুদেবার্তা) পাঠান তার বান্ধবী। ওই মেসেজে তার বান্ধবী জানতে চান- ফারদিন ঠিকঠাক মতো পৌঁছেছেন কিনা। উত্তরে ফোনের ওপাশ থেকে এক শব্দে 'হ্যাঁ' লেখা হয়। মেসেজের সঙ্গে 'ভালোবাসা'র চিহ্ন পাঠানো হয়।
ওই তরুণীর দাবি, শুক্রবার রাত ১০টা ৯ মিনিটে রামপুরা ব্রিজের কাছে তাকে নামিয়ে দেন ফারদিন। ১১টার দিকে ফারদিনের মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে ঠিকমতো পৌঁছেছেন কিনা, তা জানতে চেয়েছেন। ওই তরুণী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়, পরদিন শনিবার পরীক্ষা থাকায় বাসায় না ফিরে ক্যাম্পাসে ফিরে যান ফারদিন।
এদিকে ফারদিনের মোবাইল ফোন লোকেশনে দেখা যায়, শুক্রবার বিকেলে ডেমরার নিজ বাসা থেকে রামপুরা হয়ে ধানমন্ডি যান তিনি। সেখান থেকে নীলক্ষেত হয়ে কেরানীগঞ্জে যান ফারদিন। পরে পুরান ঢাকার জনসন রোডে এসে মোবাইল ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়।
রামপুরার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও মোবাইল ফোন লোকেশনের সময় দু’টিই মিলে যায়। যা স্বীকার করেছেন বুশরাও। তবে তার দাবি, বাকি সময়টাতে ফারদিনের সঙ্গে ছিলেন না তিনি।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার বান্ধবীকে পৌঁছে দিয়ে ফারদিন ক্যাম্পাসে যাননি। তাহলে কেন বান্ধবীর প্রশ্নের জবাবে 'হ্যাঁ' সূচক জবাব দিলেন? ফোনটি কি তখন ফারদিনের কাছে ছিল, নাকি অন্য কেউ তা দখলে নেয়- এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, নিখোঁজের তিনদিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। সোমবার (৭ নভেম্বর) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন বনানী ঘাট সংলগ্ন লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।