শিরোনাম
ফরিদপুর-২ আসনে উপ-নির্বাচনে কোনো অনিয়ম না থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সেই সঙ্গে গাইবান্ধা অনিয়মের ‘এক তৃতীয়াংশ’ তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পুরো প্রতিবেদন নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে চান তিনি।
শনিবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিসি ক্যামরা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি।
সকাল ৮টা থেকে ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচন চলছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোট হবে। স্থানীয়ভাবে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি এ আসনের সবকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ মিলিয়ে ১০৫২টি সিসি ক্যামরায় ভোট দেখছেন সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা।
দুপুরে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের কাছে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘অনিয়ম একেবারেই দেখছি না। খুবই শান্তিপূর্ণভাবে ফরিদপুর উপ-নির্বাচন হচ্ছে।’
তবে ভোটার উপস্থিতি তুলনামুলক কম দেখা যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
যেটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল, সিসি ক্যামরায় দেখলাম শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। সিসি ক্যামরায় একটা ইতিবাচক দিক রয়েছে। সিসি ক্যামরায় ভোট করা নতুন একটি সংযোজন।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পুরো করে গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও ৭-১০ দিন সময় লাগবে।
তিনি জানান, ৫১টি কেন্দ্রের তদন্ত প্রতিবেদন তারা পেয়েছেন, বাকি ৯৪টি কেন্দ্রের তদন্ত প্রতিবেদনও এক সপ্তাহের মধ্যে করতে বলা হয়েছে আগের কমিটিকে।
তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের হাতে এসেছে। কমিশন সভা নিয়ে ব্যস্ততা ছিল। শনিবার আজকে বসে আমরা রিপোর্টগুলো দেখেছি। প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করছি না।
বাকি ৯৪টি ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতিও তদন্ত কমিটি পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদন দেবে বলে উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সিইসি বলেন, ‘সিসিটিভি যে ফুটেজ রয়েছে তদন্ত কমিটি তা দেখে একটা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন আমাদের কাছে দেবে। এ জন্যে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। আগের কমিটি সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিলে টোটাল গাইবান্ধার ওপরে সমন্বিত সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সিইসি বলেন, ‘একটু অপেক্ষা করেন। ৭-১০ দিন সময় লাগবে। খন্ডিত প্রতিবেদন পেয়েছি, পুরোটার তদন্ত প্রতিবেদন দরকার।’
তিনি বলেন, গাইবান্ধার ৫১টি কেন্দ্রের অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদন ইসির হাতে। বাকি ৯৪ কেন্দ্রেরও সিসি ক্যামেরা দেখে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দিতে বলেছে কমিশন।