শিরোনাম
ব্রিটিশ ভারত ও পাকিস্তান আমলের ৩৬৯টি আইন এখনো বাংলাদেশে চালু আছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে প্রচলিত আইনের ৩৬৯টি এখনো বাংলাদেশে চালু আছে। ব্রিটিশ ভারত ও পাকিস্তান আমলে ওইসব আইন প্রণয়ন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।
আইনমন্ত্রী জানান, সংবিধানের ১৪৯ অনুচ্ছেদ দ্বারা প্রচলিত সব আইনের কার্যকারিতা অব্যাহত রাখা হয়। ১৯৭৩ সালের ‘‘বাংলাদেশ ল’স (রিভিশন অ্যান্ড ডিক্লিয়ারেশন) অ্যাক্ট-১৯৭৩’’ প্রণয়নের মাধ্যমে স্বাধীনতা পূর্ব আইনগুলোকে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও অভিযোজন করে বহাল রাখা হয়েছে।
সংসদে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রচলিত বৃটিশ ভারতের আইনের সংখ্যা ২২২টি এবং পাকিস্তান আমলের আইনের সংখ্যা ১৪৭টি। ব্রিটিশ ভারতের প্রথম আইন হচ্ছে ১৭৯৯ সালে প্রণীত দ্য উইলস অ্যান্ড ইনটেসট্যাসি রেগুলেশন। পাকিস্তান আমলে প্রণীত শেষ আইন হচ্ছে দ্য গভর্নমেন্ট অ্যান্ড লোকাল অথরিটি ল্যান্ডস অ্যান্ড বিল্ডিংস (রিকভারি অব পোসেশন) অর্ডিন্যান্স-১৯৭০।
গণফোরামের মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ২০১৫ সালের বেতন ও ভাতাদি আদেশ অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা শ্রেণি বিভাজনের পরিবর্তে বেতন স্কেলের গ্রেডভিত্তিক পরিচিত হবেন। সরকারের বিদ্যমান আইন, বিধি ও আদেশ নির্দেশনায় শ্রেণি উল্লেখ থাকায় শ্রেণির পরিবরেত গ্রেড উল্লেখ করে ওইসব আইন, বিধি, আদেশ ও নির্দেশনা সংশোধনের লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এরইমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শহিদুল ইসলাম বকুলের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারি চাকরিজীবীদের সার্ভিস বুক এবং পেনশন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম ডিজিটালভিত্তিক করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অনলাইনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, পেনশন পরিশোধের কার্যক্রম চলমান আছে।