শিরোনাম
নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র অর্থ এবং হিজরতবিষয়ক প্রধান সমন্বয়কসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাতে তাদের কুমিল্লার লাকসাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত তিন দফায় জঙ্গিবাদে জড়ানো বাড়িছাড়া তরুণ ও নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই সংঠনের অর্থবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক ও হিজরতবিষয়ক প্রধান সমন্বয়কসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ বিষয়ে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান কমান্ডার মঈন।
৬ অক্টোবর নতুন জঙ্গি সংগঠনের নাম জানায় র্যাব
গত ৫ অক্টোবর ঘরছাড়া সাত তরুণকে গ্রেফতারের পরদিন সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, বাংলাদেশে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন-বিশেষত জেএমবি, আনসার আল ইসলাম এবং হুজির বিভিন্ন পর্যায়ের কিছু নেতাকর্মী একত্রিত হয়ে এই উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৭ সাল থেকে তরুণদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করে এই নতুন মঞ্চে ভেড়ানোর চেষ্টা শুরু হয়। ২০১৯ সালে নতুন জঙ্গি সংগঠনের নাম দেওয়া হয় জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া। সম্প্রতি দেশের কুমিল্লা ও অন্যান্য অঞ্চল থেকে বাড়ি ছেড়ে কথিত হিজরত করেন অর্ধশতাধিক যুবক। যাদের মোটিভেশন, প্রশিক্ষণসহ সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেএমবি, নব্য জেএমবি, হিজবুত তাহরীরসহ অন্যান্য নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন থেকে আসা নেতৃস্থানীয়রা।
নতুন জঙ্গি সংগঠনের প্রধান শামিন ও কুকি-চিনের প্রধান নাথান দুজন বন্ধু
শামিন মাহফুজ ২০০৬ সাল থেকে পাহাড়ি এলাকাকে কেন্দ্র করে একটি জঙ্গি নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা করে আসছিলেন। সবশেষ ২০১৭ সালে যখন তিনি জামিনে বের হন, তখন তিনি পাহাড়ি এলাকায় একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প খুঁজতে থাকেন। এরপর তিনি জানতে পারেন, পাহাড়ি এলাকায় ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (কেএনএফ) নামে একটি সশস্ত্র সংগঠন আছে। সেই সংগঠনের প্রধান হলেন নাথান বোম। নাথান বোম আবার শামিন মাহফুজের বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। শামিন ও নাথান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছিলেন।
গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, পার্বত্য অঞ্চলকে প্রশিক্ষণ শিবির হিসেবে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ হলো তাদের সদস্যদের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা বজায় রাখা। পার্বত্য অঞ্চল থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সমতল ভূমিতে এসে হামলা করে যেন নিরাপদে আবারও ক্যাম্পে ফিরে যেতে পারেন।