শিরোনাম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একটি প্রত্যাবাসন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে একজন রোহিঙ্গাও তাদের নিজ ভূমি রাখাইন রাজ্যে ফিরে যায়নি।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয়। এসময় মোমেন বলেন, মিয়ানমারের সামরিক সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আগের করা সব চুক্তি মেনে চলবে। বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা ভালো খবর।’
আলোচনা শুধু রোহিঙ্গা ইস্যুতেই সীমাবদ্ধ ছিল। এর আগে রাষ্ট্রদূত জিমিং জানিয়েছিলেন যে, মিয়ানমার পক্ষের সঙ্গে তাদের আলাপের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা রোহিঙ্গা ইস্যুর দ্রুত ও টেকসই সমাধান চায়। তিনি বলেন, ‘আমি (রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে) সব সময়ই আশাবাদী।’ মোমেন বলেন, ‘জিরো পয়েন্টে’ বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে ভূমিকা রাখার আহ্বানটি বেইজিংকে পৌঁছে দিতে তিনি চীনের রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেছেন।
মোমেন বলেন, মিয়ানমার সামরিক কর্তৃপক্ষ বেইজিংকে জানায় যে, সত্যতা যাচাই করার পর তারা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। যদিও বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কবে শুরু হবে, সে ব্যাপারে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ জানানো হয়নি। মোমেন বলেন, চীন আশ্বস্ত করেছে যে বেইজিং রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
মোমেন বলেন, তারা (চীন) পরিস্থিতি সহজ করতে ভূমিকা রাখছে, কিন্তু তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নয়। আমরা এ সংকট নিরসনে তাদের অনুরোধ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ঢাকা এ সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখতে চীনের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে। চীন একটি ত্রিপাক্ষিক পদ্ধতির আওতায় রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধানের উপায় বের করতে চার বছর ধরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। যদিও মিয়ানমার এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ব্যাপারে রোহিঙ্গারা আস্থা রাখতে না পারায়, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত এসব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।