শিরোনাম
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার আইনের মামলায় বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার অবশিষ্ট সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
বুধবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে মামলার সর্বশেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ এ সাক্ষ্য দেন।
এরপর আসামিপক্ষ থেকে তাকে জেরা করা হয়। তবে জেরা করা সম্পূর্ণ শেষ না হওয়ায় আগামী ৯ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলাটিতে এখন পর্যন্ত চার্জশিটভুক্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা ২৬ তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার মাইনুল হাসান বিষয়টি ভোরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্না রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান। মাহমুদুল হাসান রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে মিজানের স্ত্রী পলাতক ও বাকি দুইজন জামিনে রয়েছেন।
২০১৯ সালের ২৪ জুন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের মামলায় ডিআইজি মিজানের তিন বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।