এবার জাপানের আকাশে উড়বে বিমান

ফানাম নিউজ
  ০৫ অক্টোবর ২০২২, ২৩:০৪

জাপানের নারিতা বিমানবন্দরে ফ্লাইট চালু করতে কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এ বিষয়ে জাপান সরকারের অনুমোদনও বেশ আগেই পায় রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠানটি।

লন্ডন-কানাডার পর এবার জাপানের আকাশে পাখা মেলার পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে বিমানকে ফিফথ ফ্রিডম সুবিধাও দিয়েছে জাপান। অর্থাৎ ঢাকা-নারিতার মধ্যবর্তী একটি বিমানবন্দর থেকে যাত্রী নিয়েও এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে।

বিমানের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং এশিয়ার অন্য অঞ্চলগুলোর সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগের পথ খুলবে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি জাহিদ হোসেন বলেন, ফ্লাইট অপারেশনের কাজগুলো চলছে। এই মুহূর্তে বলতে পারছি না কবে নাগাদ এটা শুরু হবে। এটা আমাদের তালিকার মধ্যে আছে।

তিনি আরো বলেন, আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী জাপান এয়ারের সঙ্গে কোড শেয়ার চুক্তিতে যাওয়ার কথা রয়েছে। দুটি এয়ারলাইন্সের মধ্যে এ ধরনের চুক্তি থাকলে একজন যাত্রী একটি এয়ারলাইন্সের টিকিট কেটেই অন্য এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে পারেন। বিশ্বের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এ ধরনের চুক্তির ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করলেও বাংলাদেশের জন্য এবারই প্রথম।

বিমানের এমডি বলেন, বিমানের বহরে লম্বা দূরত্বে উড়তে সক্ষম অন্তত ১০টি উড়োজাহাজ থাকলেও রুট না থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সেগুলোর সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ছয়টি বোয়িং-৭৮৭ ও চারটি বোয়িং-৭৭৭ মডেলের উড়োজাহাজ। প্রতিটি টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম।

তিনি আরো বলেন, এতদিন বিমানের লম্বা দূরত্বের ফ্লাইট চালু ছিল শুধু লন্ডন রুটে। পরে টরন্টো রুটও যুক্ত হয় লম্বা দূরত্বের রুটের তালিকায়। ঢাকা থেকে সরাসরি আকাশপথে নারিতা যেতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা। চালু হলে এটিও বিমানের লম্বা দূরত্বের রুট হবে।

টরন্টোতে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করায় ভারত, নেপালসহ আশপাশের বিভিন্ন দেশের যাত্রীদের মধ্যে রুটটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। নারিতা রুটেও মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার অনেক যাত্রী পাওয়া যাবে বলে আশা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।