শিরোনাম
কূটনৈতিক শালীনতা যেন লঙ্ঘন না হয় সেদিকে কূটনৈতিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, এটি তো নতুন নয়, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য যারা রাষ্ট্রদূত ছিলেন তারাও এ নিয়ে কথা বলেছেন। অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতরাও কথা বলেন। আমরা তাদের সঙ্গে একমত। আমরা স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন চাই। এটি শুধুমাত্র সরকারি দলের দায়িত্ব না, সব দলের দায়িত্ব। যারা এ নিয়ে বক্তব্য রাখছেন, আশা করি তাদের সেই বক্তব্য বিএনপিসহ যারা সংঘাতময় পরিস্থিতির চেষ্টা চালায় তাদের কানে পৌঁছুবে। নির্বাচন কমিশনের অধিনে একটি অংশগ্রহণমূলক স্বচ্ছ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তারা সহায়তা করবে। বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দিতে পারেন, সেটি যেন অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের মতো না হয়। একইসঙ্গে কূটনৈতিক শালীনতাও যেন লঙ্ঘন না হয়।
সোমবার (৩ অক্টোবর) নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূতের করা এক মন্তব্যের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের কাছ থেকে কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২১ গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব দেন তথ্যমন্ত্রী।
প্রেস কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এমপি, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি সম্পাদক এম. জি কিবরিয়া চৌধুরী, বিএফইউজের দপ্তর সম্পাদক সেবিকা রাণী, প্রেস কাউন্সিল সচিব শাহ আলম উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপের নামে বিএনপি আনুবীক্ষণিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে- মন্তব্য করে ড. হাছান বলেন, বিএনপি ২০১৮ সালেও ডানপন্থী-বামপন্থী, অতি ডান-অতি বাম সমস্ত দলের সঙ্গে সংলাপ করে একটি বড় ঐক্য করেছিল। সেই ঐক্যের ফল হচ্ছে বিএনপির মাত্র পাঁচটি আসন। গতকাল (রবিবার) তারা বৈঠক করেছে কল্যাণ পার্টির সঙ্গে। এমন আনুবীক্ষণিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে যখন তারা বৃহত্তর ঐক্য গঠন করবে বলে, তখন মানুষ হাসে। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান আছে, মহাসচিব যে কে আমি জানি না, মির্জা ফখরুল সাহেবও জানেন কি না জানি না। এ ধরনের দলের সঙ্গে বৈঠক কিছু সংবাদ পরিবেশনের জন্য ছাড়া অন্য কিছু নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপির উদ্দেশ্য একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করা। যেটা তারা বিগত দুটি নির্বাচনে করেছিল। এখনো চেষ্টা করছে। তারা উস্কানিমূলকভাবে তাদের কর্মীদের লেলিয়ে দিচ্ছে পুলিশ এবং জনগণের ওপর। দেখা যাচ্ছে যে, তাদেরই ইটের আঘাতে তাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে, মৃত্যুবরণও করেছে। তারা এ ধরণের ঘটনা ঘটাবে, নিজেরা নিজেদের কর্মীদের মারবে, মেরে পুলিশের ওপর, সরকারের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করবে। আমরা আমাদের দলকে সংযতভাবে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছি, পুলিশও বিএনপির যুদ্ধংদেহী মনোভাব, সংঘাতের অপচেষ্টাকে অত্যন্ত সংযতভাবে মোকাবিলা করছে, কিন্তু তারা যদি এটি অব্যাহত রাখে, জনগণ তাদেরকে আবারও আগে যেভাবে প্রতিহত করেছিল তাই করবে।