চাল-আটার দাম কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে : বাণিজ্যমন্ত্রী

ফানাম নিউজ
  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:৫৩

চাল, আটা, ডাল ও ডিমের দাম বেঁধে দেওয়ার এখতিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নয় জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, তাই এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ মিলনায়তনে ‘মিট দ্য ওকাব উইথ টিপু মুনশি’ শীর্ষক আলোচনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে, বাজারের লাগাম টেনে ধরতে গত ৩১ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১৫ দিনের মধ্যে চাল, আটা, ডাল, তেল, চিনি, ডিম, রড ও সিমেন্টের দাম বেঁধে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। নির্ধারিত সময় পার হওয়ার একদিন পরে মন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেল ও চিনি ছাড়া অন্য পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার এখতিয়ার তার মন্ত্রণালয়ের নেই।

টিপু মুনশি বলেছেন, কৃষি মন্ত্রণালয় কয়েকটি পণ্যের ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছে। ২০১৮ সালের এক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, চাল, আটা, ডাল ও ডিমের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয়ের। এখন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে দাম নির্ধারণ হবে। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় পজিটিভ হলে ডিম আমদানি করা হবে। দাম নির্ধারণ হবে আলোচনার মাধ্যমে। ভারত থেকে ডিম আমদানি করে কম মূল্যে ভোক্তাদের দেওয়ার পক্ষে তিনি বলে জানান।

তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে ভোক্তা ও কৃষক উভয়কেই দেখতে হবে। যথেষ্ট হিমাগার না থাকায় অনেক পেঁয়াজ পচে যায়। ফলে সেপ্টেম্বরে আমাদের পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। সেপ্টেম্বরে পেঁয়াজ উৎপাদন করার চিন্তা করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যে যাবে না, তা এখন বুঝা যাচ্ছে। যদিও প্রথমে তাদের মানবিক কারণে জায়গা দেওয়া হয়েছিল। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার মাধ্যমেই মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে।

তিনি বলেন, মানবাধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ থাকলেও তা আমাদের বাণিজ্যে প্রভাব ফেলবে না। গতবারের তুলনায় এবার ২০ শতাংশ বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ডলারের মূল্যের বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা চাই রেডিমেড গার্মেন্টস তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখুক। পাশাপাশি আইসিটি ও চামড়া খাতে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছি। ১০টি আইটেমের উৎপাদন বাড়াতে পারলে আমাদের রপ্তানি বাড়ব। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি এটি বাড়াতে। ২০২৬ সালে একশ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতে চায় বাংলাদেশ বলে জানান তিনি।