শিরোনাম
পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে ভারত সফরের মাধ্যমে দুই দেশের একসঙ্গে নতুনভাবে এগিয়ে চলার গতি সঞ্চার হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতীয় নেতৃত্বের শীর্ষ পর্যায়ে, সংবাদমাধ্যমে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আমি বাংলাদেশের জন্য যে প্রীতি ও সৌহার্দ্য লক্ষ্য করেছি তা সত্যিই অসাধারণ। এই প্রীতির সম্পর্ককে সুসংহত করে আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে সহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকবে এবং বাংলাদেশ ও ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়া শিগগিরই একটি সমৃদ্ধশালী অঞ্চলে পরিণত হবে।
চার দিনের ভারত সফরের বিষয়ে জানাতে বুধবার গণভবনে করা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
এবারের সফরের প্রাপ্তি তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, ‘জ্বালানি তেলের আমদানি উৎস বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে গত ২৮ আগস্ট ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইন্ডিয়ান ওয়েল করপোরেশন লিমিটেডকে (আইওসিএল) কে জি-টু-জি ভিত্তিতে জ্বালানি তেল সরবরাহকারী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।’
‘এর ফলে আইওসিএলের অন্তর্ভুক্তির ফলে তুলনামূলক স্বল্প সময়ে ও সাশ্রয়ী মূল্যে ডিজেল, অকটেন, ফার্নেস অয়েল, এভিয়েশন ফুয়েল আমদানি করা সম্ভব হবে। এতে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল বিশেষত খুলনা এলাকার বিদ্যুৎ ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে গ্যাসের বিপুল চাহিদার কথা বিবেচনা করে ক্রস-বর্ডার পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত হতে বাংলাদেশে রিগ্যাসিফাইড এলএজি (আরএলএনজি) আমদানির বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন আছে।
‘এ লক্ষ্যে আইওসিএলের এইচ এনার্জির প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে উভয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পেট্রোবাংলার দুটি পৃথক নন বাইন্ডিং এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। বর্তমানে আরএলএনজি আমদানির বিষয়ে উভয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পেট্রোবাংলার সম্পাদিতব্য গ্যাস সাপ্লাই এগ্রিমেন্ট (জিএসএ) প্রস্তুতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতে সফর করেন সরকারপ্রধান। দেশটির সঙ্গে সাতটি সমঝোতা সই হয় এই সফরে।