প্রধানমন্ত্রী ভারত যাচ্ছেন আজ

ফানাম নিউজ
  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০৭
আপডেট  : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:০২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সফরে ভারত যাচ্ছেন আজ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে তার এ সফর। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব রাজনীতির নতুন মেরুকরণ, বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন, বৈশ্বিক মন্দাসহ বিভিন্ন কারণে সরকারপ্রধানের এ সফর এখন দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলের আগ্রহের কেন্দ্রে।

এ সফর সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, করোনা মহামারী, ইউক্রেন সংকট এবং বিশ্বমন্দার প্রেক্ষাপটে এ সফর দুই দেশের পারস্পরিক সমঝোতা ও সাহায্যের মাধ্যমে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বা নীতিনির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, এ সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষণ হলো কাল মঙ্গলবার হায়দরাবাদ হাউজে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির ৩০ মিনিটের একান্ত বৈঠকের সময়। দুই দেশের সরকারপ্রধানের বৈঠকেই মূল আলোচনা হবে। তবে তাদের দুজনের মধ্যে এ বৈঠকে আলোচনার বিষয় অনেকটাই থাকবে অজানা। দুই দেশের কূটনৈতিক সূত্রের দাবি, দুই সরকারপ্রধানের একান্ত বৈঠকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা হবে। গত দুই বছর ধরে চীন ও বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে যে ‘শীতল’ সম্পর্ক যাচ্ছে সেটি কমে আসতে পারে এ বৈঠকে। হায়দরাবাদ হাউজের কালকের সেই আধঘণ্টাই এ সফরের মূল প্রাণ হবে।

গতকাল রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং একান্ত বৈঠক করার কথা রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, জ¦ালানি, অভিন্ন নদ-নদীর পানিবণ্টন ও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা আলোচ্যসূচির শীর্ষে থাকবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো নিয়ে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা অর্জন করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি বলেন, এ সফর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি ও বিদ্যমান গতিশীল সম্পর্ককে আরও সুসংহত করবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। তবে এর সংখ্যা আরও বাড়তেও পারে সফরের সময়।’

তিনি বলেন, ‘সফরে বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অনিষ্পন্ন বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা অর্জন করা যাবে বলে প্রতীয়মান হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক গভীর হওয়াসহ সার্বিকভাবে এ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নতুন নতুন উদ্যোগ গৃহীত হবে।’

ড. মোমেন বলেন, ‘বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। এর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, গণযোগাযোগ, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, নদীর অববাহিকাভিত্তিক পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত সুরক্ষা, নিরাপত্তা সহযোগিতা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ প্রভৃতি অধিক গুরুত্ব পাবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারী, ইউক্রেন সংকট এবং বিশ্বমন্দার প্রেক্ষাপটে এ সফর দুই দেশের পারস্পরিক সমঝোতা ও সাহায্যের মাধ্যমে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বা নীতিনির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক বর্তমানে বিশেষ উচ্চতায় অবস্থান করছে। বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে স্থলসীমানা ও সমুদ্রসীমানা নির্ধারণ সারা বিশ্বের সামনে সহযোগিতার ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় যেমন নিরাপত্তা ইস্যু, আন্তঃসংযোগ, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, জনযোগাযোগ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, আন্তঃদেশীয় বাস চলাচল, রেল ও নৌপথে যোগাযোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।’

দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক হবে কি না এ প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখনই অন্য কোনো দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে আলাপ করেন, তখন মোটামুটিভাবে প্রত্যেক ক্ষেত্রে একান্ত আলোচনা হয়। ভারতের সঙ্গে সবসময় একান্ত আলোচনা হয়। আশা করব যে এবারও একান্ত আলোচনা হবে। ওখানে কী আলোচনা করবেন এটি আমরা জানি না। নির্বাচন এখনো অনেক দিন বাকি। সুতরাং এটি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই।’

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না বলে জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। দুই দেশের জাতীয় নির্বাচন সামনে এবং এটি নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করতে পারেন কি না এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই বাংলাদেশের নির্বাচন অন্য কোনো রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু নয়।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাশিয়া নয়, ভারতের তেল কিনতে পারে বাংলাদেশ। তৃতীয় অন্য কোনো দেশের তেল ভারতের মাধ্যমে বাংলাদেশের কেনার কোনো পরিকল্পনাই এ মুহূর্তে নেই।’

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের এনার্জি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কো-অপারেশনের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বেশ কয়েক বছর আগেরই। যেটা আপনারা দেখেছেন। ভারতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আমরা নিয়ে আসছি এবং ভারতের একটি বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীর বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ প্রায় শেষের দিকে। এ বছরের কোনো একটা সময় উদ্বোধন হবে।’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছি। এছাড়া ভারতের একটি বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বাংলাদেশে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে। ভারতের উত্তর-পূর্ব দিক থেকে একটি পাইপলাইন পার্বতীপুর দিয়ে করা হয়েছে। জ্বালানি ক্ষেত্রে অনেক সহযোগিতা হতে পারে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে আলোচনা হতে পারে। আলোচনার পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারব।’

এর আগে এ সফরে অর্থনৈতিক ইস্যুতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ (সমন্বিত বাণিজ্য চুক্তি/কম্প্রিহেনসিভ) চুক্তি হবে কি না এ প্রশ্নে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বিষয়টি অনেক বড়। এটা নিয়ে আলোচনা হবে। তবে চুক্তির বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’ তিস্তা ও অন্যান্য অভিন্ন নদীর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এ সফরের চুক্তি এবং নদীর পানিবণ্টন বিষয়ে ভারতের একটি গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানিয়েছেন।’ তবে কুশিয়ার পানির সমঝোতা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, রেলপথমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট আজ সকাল ১০টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। ফ্লাইটটি দুপুর ১২টায় (বাংলাদেশ সময়) নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান অভ্যর্থনা জানাবেন।

শেখ হাসিনার সম্মানে বিমানবন্দরে একটি লাল গালিচা বিছানো হবে। এ সময় সেখানে ছয়-সাত সদস্যের একটি সাংস্কৃতিক দল স্বাগত নৃত্য পরিবেশন করবে এবং বাদ্যযন্ত্র বাজানো হবে।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে কাল মঙ্গলবার হায়দরাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং একান্ত বৈঠক করার কথা রয়েছে। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং পরে একটি বিবৃতি দেওয়া হবে। হায়দরাবাদ হাউজে পৌঁছলে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাবেন মোদি। সেখানে শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার পরিদর্শন করবেন। প্রধানমন্ত্রী পরে তার সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।

আজ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এদিন রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো ছাড়াও দিল্লিতে নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগাহ পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া আদানি গ্রুপ চেয়ারম্যান গৌতম আদানিরও বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে।

কাল সফরের দ্বিতীয় দিন শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখাড়ের সঙ্গে আলাদা সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একই দিনে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার দেখা করার কথা রয়েছে।

সফরের তৃতীয় দিন বুধবার ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়নমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি এবং নোবেলবিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসারদের বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদানের একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় ফেরার আগে রাজস্থানের খাজা গরিব নওয়াজ দরগাহ শরিফ, আজমির (আজমির শরিফ দরগাহ) যাবেন।

তিন বছর পর ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৯ সালের অক্টোবরে সর্বশেষ তিনি ভারত সফর করেন। পরে কভিড মহামারীর ফলে ২০২০ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী এক ভার্চুয়াল সামিটে অংশগ্রহণ করেন। ২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং ডিসেম্বরে দেশটির রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী এবং ভারত-বাংলাদশ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ সফর করেন।