শিরোনাম
দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাশিয়া, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম— এই পাঁচ দেশ থেকে খাদ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। প্রয়োজনে অন্যান্য দেশ থেকেও আমদানি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করায় বাজারে চালের দাম চার থেকে পাঁচ টাকা কমেছে। খাদ্যবান্ধব এবং ওএমএস চালু করায় যে পরিমাণ চাল সরবরাহ করতে হচ্ছে, তা পূরণ করার জন্য পাঁচটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করছে সরকার। ইতিমধ্যে সব চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে এসব খাদ্যশস্য দেশে আসবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান দেশে ১৯ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। আমনের ফসল কিছুটা কম হলেও যাতে কোনো ধরনের প্রভাব না পড়ে সে কারণে প্রয়োজনে আমদানি করে খাদ্যশস্যের ঘাটতি মেটানো নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শুধু এর ওপর নির্ভর না করে বিকল্প হিসেবে আরও কয়েকটি উৎসকে প্রস্তুত রাখতে, যাতে শেষ মুহূর্তে কোনো জটিলতা না হয়।
আমনের সেচ সুবিধার জন্য রাত ১২টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় সংশ্লিষ্টরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।