শিরোনাম
ভবিষ্যৎ খাদ্য সংকট বিবেচনায় আমদানির বিকল্প উৎস ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত আমদানির নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে রাশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম থেকে খাদ্য আমদানির চুক্তি হয়েছে। প্রয়োজনে অন্যান্য দেশ থেকে খাদ্য আমদানি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দেশে ১৯ লাখ ৫০ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে।
চলমান করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে নভেম্বরে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুতের নির্দেশনা দিয়েছেন। চাল আমদানির জন্য যাদের ‘ওয়ার্ক অর্ডার’ দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ ফেল করতে পারে। এজন্য আগেই কিছু বিকল্প অর্ডার দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সাধারণত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ করে সরকার। তবে এবছর নভেম্বরে সারাবিশ্বে খাদ্য সংকটের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও নভেম্বর পর্যন্ত চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই কর্মসূচি চালানোর জন্য অতিরিক্ত আরও ৫ থেকে ৬ লাখ টন চাল প্রয়োজন হবে।