শিরোনাম
চা-শ্রমিকদের ঘর করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চার জেলার চা-শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আশ্বাস দেন।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। মৌলভীবাজারের পাত্রখোলা চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। তাকে স্বাগত জানান মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।
পাত্রখোলা চা বাগানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ, মৌলভীবাজার আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নেছার আহমদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চা-শিল্প যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে। ঐতিহ্যবাহী চাশিল্পকে ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না। চা-শ্রমিকরা ভালোভাবে বাঁচলে এই শিল্প বাঁচবে। শ্রমিকদের সবাইকে ঘর করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার চণ্ডীছড়া চা-বাগানের খেলার মাঠ থেকে জেলার ২৪টি চা-বাগানের শ্রমিকরাও ভিডিওকলে অংশ নেন। এ ছাড়া মৌলভীবাজার থেকে ভিডিওকলে অংশ নিয়েছেন ৯২টি চা-বাগানের শ্রমিকরা। এ ছাড়া সিলেট এবং চট্টগ্রাম থেকেও ভিডিওকলে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা।
এর আগে, দৈনিক মজুরি বাড়াতে চা শ্রমিকদের প্রায় ২০ দিনের কর্মবিরতিতে দেশের চা শিল্প গভীর সংকট দেখা দেয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ আগস্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দেন। এ ঘোষণার পরেরদিন কর্মে ফেরেন চা শ্রমিকরা।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট থেকে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন চা বাগানের শ্রমিকরা। টানা কয়েক দিন ধরে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে শ্রমিক নেতারা কথা বলে আশ্বাস দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। এ ছাড়া প্রশাসনের কর্মকর্তারাও নানান আশ্বাস দিলেও কাজে ফেরেনি তারা। চা-শ্রমিকদের আন্দোলনের মাঝে চা বাগান মালিকেরা ২৫ টাকা মজুরি বাড়িয়ে ১৪৫ টাকার প্রস্তাব করলেও তারা কাজে ফেরেনি।