শিরোনাম
শেরপুরের শ্রীবরদীতে মায়ের বিরুদ্ধে শিশু সন্তানকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ তুলেছেন শিশুটির বাবা। গত রাতে উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের চরহাবর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, তিন বছর আগে স্থানীয় আমিন মিয়ার সঙ্গে রত্না আক্তারের বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য কলহ চলছিলো। গতকাল স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে এ বিষয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করলেও আমিন মিয়ার পরিবার অনুপস্থিত ছিলো না। শনিবার তাদের দুজনের তালাকের কথা ছিলো।
এদিকে রাতে রত্না আক্তারের বাবার বাড়িতে গোয়াল ঘরে ধোঁয়া থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে দুইটি ঘর পুড়ে যায়। পরবর্তীতে গোয়াল ঘরে তাদের চার বছরের শিশু ইসমাঈলের মরদেহ পাওয়া যায়।
শিশুটির বাবা আমিন মিয়ার অভিযোগ, দাম্পত্য কলহের কারণে বাবার বাড়িতেই থাকতো রত্না। তালাকের পর যাতে কোনো সমস্যা না হয়, এজন্য শিশুকে পুড়িয়ে মেরেছে শিশুটির মা রত্না আক্তার।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রত্না বলেন, ভয় পেয়ে গোয়াল ঘরে পালানোর কারণেই মৃত্যু হয়েছে ইসমাইলের।
পারিবারিক কলহ ও বৈঠকের বিষয়টি স্বীকার করে ভেলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বলেন, মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
অপরদিকে শিশুটির দাদা নুরু মিয়া জানান, এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হলেও বাবার অভিযোগ গ্রহণ করেনি পুলিশ। থানা কিংবা কোর্টেও মামলা না নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
তবে এ বিষয়ে ফোনে একাধিকবার কল করে ও থানায় গিয়েও পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সূত্র: জাগো নিউজ