শিরোনাম
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমরা ঘরে ঘরে শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি তাহলে কেন লোডশেডিংয়ের মধ্যে থাকবো। সেপ্টেম্বর মাসে লোডশেডিং থাকবে না। আমরা আশা করি সেপ্টেম্বর মাসে দেশে আর কোনো লোডশেডিং থাকবে না।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সাথে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, লোডশেডিং নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি একনেক সভায়।
দেশের পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, অনেকে বলেছিলেন দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে গেল। ইনশাল্লাহ শ্রীলঙ্কা হয়নি দুই মাস হয়ে গেল। রিজার্ভ নামছিল এখন টেকসই অবস্থায়। রেমিট্যান্সে প্রবাহ বেড়েছে। ঈদের পরে বেশি রেমিট্যান্স পেয়েছি। ৩০ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স বেড়েছে। এক্সপোর্ট হাওয়া ভালো, এ ছাড়া রাজস্ব আদায়ও ভালো। আমরা খাদে পড়বো না বরং খাদ থেকে উঠবো।
তিনি আরও বলেন, জ্বালানি ধীরে ধীরে বিশ্ব মার্কেটে নামছে। জ্বালানি সমন্বয় করবো। ইউক্রেন-রাশিয়া পৃথিবীর চার ভাগের একভাগ খাদ্য উৎপাদন করে। ভয় কেটে যাবে আশা করছি। সমতল ধারায় ফিরে যাবে দেশের অর্থনীতি। এই বিশ্বাস আমাদের আছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। শিগগিরই তা সমন্বয় করা হবে। মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছে।
রাজধানীর উত্তরায় প্রাইভেটকারে ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দায় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।
কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ কীভাবে চলমান, তা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তারা। এবার এই আলোচনা পৌঁছেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায়।
নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ এবং দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দুর্ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রকল্প পরিচালক, ঠিকাদারসহ যাদেরই এই ঘটনায় দায় আছে- তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়া অর্থাৎ জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।
‘একনেক সভায় ২ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩টি প্রকল্প নতুন, আর ৩টির ব্যয় বাড়ানো হয়েছে’ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে জ্বালানি তেলসহ সবকিছুর দাম কীভাবে সমন্বয় করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।
একনেক সভায় ২ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে ৩টি প্রকল্প নতুন, আর ৩টির ব্যয় বাড়ানো হয়েছে।