শিরোনাম
সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। রোববার (৭ আগস্ট) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে একটি ফ্লাইটে করে তিনি মঙ্গোলিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওয়াং ইকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
এর আগে প্রায় ১৯ ঘণ্টার সফর শেষ করেন চীনা এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এই সময়ে তিনি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে হওয়া দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে চারটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দুটি দেশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মেরিন সায়েন্স শিক্ষাবিষয়ক চুক্তি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয় চুক্তি, সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ মোট চারটি চুক্তি করা হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
এর আগে শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেল চীনা এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ঢাকায় পৌঁছালে স্বাগত জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
পরে ওয়াং ই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তার সঙ্গে ছিলেন। এরপর জাদুঘরের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন তিনি।
২০১৭ সালের নভেম্বরে ওয়াং ই রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ঢাকা সফরে এসেছিলেন। তবে ছয় বছর পর চীনা সরকারের কেউ দ্বিপক্ষীয় সফরে ঢাকা আসলেন। ২০১৬ সালে শি জিনপিং সর্বশেষ সফর করেছেন।
তাইওয়ান ইস্যুতে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশের এ সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।
এই সফরে দুই দেশের মধ্যে ৫ থেকে ৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সরঞ্জাম সরবরাহ বিষয়-সংক্রান্ত একটি চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাকি গুলোও চূড়ান্ত করার কাজ চলমান রয়েছে।