সিনহা হত্যা: মৃত্যুদণ্ডসহ রায় দ্রুত কার্যকর চায় পরিবার

ফানাম নিউজ
  ৩১ জুলাই ২০২২, ০৮:০৪
আপডেট  : ৩১ জুলাই ২০২২, ০৮:১৬

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার দুই বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ রোববার। ছয় মাস আগে বিচারিক আদালতে এই মামলার রায় হয়। এখন আইনি প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ; হাইকোর্টে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন (ডেথ রেফারেন্স) ও আপিল শুনানির অপেক্ষায় আছে এটি। সিনহার পরিবারের আশা, রায় যাতে দ্রুত কার্যকর হয়। 

দেশব্যাপী আলোচিত এই খুনের মামলার রায় হয় চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি। রায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। যাবজ্জীবন পাওয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন এক উপপরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্য ও পুলিশের তিনজন সোর্স (তথ্যদাতা)।

আদালত সূত্র জানায়, বিচারিক আদালতের রায়সহ মামলার যাবতীয় নথিপত্র গত ৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছে, যা একটি ক্রমিকে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে সংশ্লিষ্ট শাখায় নথিভুক্ত হয়। আইন অনুসারে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকর করতে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে। এটি ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। ডেথ রেফারেন্স শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে প্রস্তুত করতে হয় পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত)। এরপর এটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের তালিকায় আসবে। সিনহা খুনের এই মামলায় এখনো পেপারবুক প্রস্তুত হয়নি।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, ‘রায়ের নথির যাচাই-বাছাই কাজ চলছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পেপারবুক প্রস্তুতের আগে কিছু আনুষঙ্গিক কাজ আছে। এগুলো চলছে।’

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বলেন, ‘আদালতের প্রতি আমাদের সম্মান আছে। যাঁদের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে, সেই রায় যেন কার্যকর হয়।’ সিনহার পরিবারে চূড়ান্ত সন্তুষ্টি এখনো আসেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুজনের মৃত্যুদণ্ড যেদিন কার্যকর হবে, সেদিন চূড়ান্ত সন্তুষ্টি প্রকাশ করব।’

সিনহার বৃদ্ধ মা নাসিমা আক্তারও আশায় বুক বেঁধে আছেন রায় কার্যকরের। তিনি বলেন, ‘রায় কার্যকর হলে এটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে মানুষের জন্য।’

সূত্র: প্রথম আলো