শিরোনাম
ঈদুল আজহার ছুটি শেষে মঙ্গলবারই খুলেছে সরকারি-বেসরকারি অফিস-কর্মস্থল। তবে এখনো অফিসপাড়ায় ঈদের আমেজ কাটেনি।
গত শুক্রবার (৮ জুলাই) থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়, শেষ হয় সোমবার (১১ মে)। গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হয় অফিস, ব্যাংক, বিমা ও শেয়ারবাজারের কার্যক্রম।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের ছুটি সোমবার পর্যন্ত থাকলেও অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারি মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার ছুটি নিয়েছেন। এরপর সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র শনিবার থাকায় রোববার থেকে অফিসপাড়া জমজমাট হতে পারে।
গত রোববার (১০ জুলাই) সারাদেশে উদযাপিত হয়েছে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের দ্বিতীয়-তৃতীয় দিনেও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুয়ায়ী পশু কোরবানি করেছেন।
ঈদ উপলক্ষে ৯, ১০ ও ১১ জুলাই (শনি, রবি ও সোমবার) ছিলো ঈদের ছুটি। এর আগে ৮ জুলাই শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় এবার ঈদে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টানা চার দিন ছুটি ভোগ করেছেন। তবে ঈদের ছুটির একদিন ৯ জুলাই পড়ে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারে।
বুধবার (১৩ জুলাই) সকাল থেকে সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, গতকালের মতো বেশিরভাগ মন্ত্রণালয় ও বিভাগেই শূন্যতা বিরাজ করছে। অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীই অফিস করছেন না। মন্ত্রণালয়গুলোর জরুরি সেবা সংশ্লিষ্ট দু-একটি শাখা খোলা রয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সড় পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তাদের উপস্থিতি খুবই কম। সচিবালয়েও অনেকটা ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। কিছু জরুরি দপ্তরের কর্মকর্তারা ছুটি না পাওয়ায় সব কর্মকর্তাই অফিস করছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিবছরই ঈদে কর্মকর্তারা ঐচ্ছিক ছুটি নেন। এবার তার ব্যত্যয় ঘটেনি। তবে অফিসে কার্যক্রম পরিচালনার মতো লোকজন কাজ করছে। রোববার নাগাদ পুরোপুরি চাঙা হবে।
সূত্র: জাগো নিউজ