শিরোনাম
ঈদুল আজহার ছুটির প্রথম দিন শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বাড়ছে ঢাকা ময়মনসিংহ ও ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে। একই সঙ্গে মহাসড়ক দুটিতে যানবাহনের চাপও ধীরে ধীরে বাড়ছে। বিশেষ করে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে চন্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া চন্দনা চৌরাস্তা থেকে কালিয়াকৈরের চন্দ্রমোড় পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন জায়গায় রাত থেকে থাকা যানজট এখনো বিদ্যমান।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর যেসব যাত্রী গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন তাদের ১৫ কিলোমিটার পথ পার হতেই চার থেকে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন যাত্রী। ওই মহাসড়কের কোনাবাড়ী মৌচাক শফিপুর পল্লী বিদ্যুৎ অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ওই সড়কগুলোতে কোনাবাড়ী পর্যন্ত গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং মৌচাক থেকে চন্দ্র পর্যন্ত গাজীপুর জেলা পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে।
গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বলেন, ঈদে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলা পুলিশের সদস্যরা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে মহাসড়ককে যানজট মুক্ত রাখতে চন্দ্র এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যাত্রী এবং যানবাহনের সংখ্যা সড়কে বেশি থাকায় যানজট নিরসনে পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার ট্রাফিক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত এবং চৌরাস্তা থেকে কোনাবাড়ী পর্যন্ত মহাসড়কে যানজটের জন্য ট্রাফিক পুলিশ এবং থানা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকেই মহাসড়কে যাত্রী এবং পরিবহনের বেশ চাপ রয়েছে। যাত্রীদের নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য পুলিশ সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এদিকে টঙ্গী ব্রিজ থেকে চন্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় মহাসড়কের মাঝখানের দুটি লেন বন্ধ রয়েছে। যার কারণে মহাসড়কে পূর্ব এবং পশ্চিম পাশের দুটি সিঙ্গেল লেন দিয়ে বিপুলসংখ্যক যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে মহাসড়কে যানবাহনের সারি বেশ দীর্ঘ হচ্ছে। এ কারণে বৃহস্পতিবার দুপুর পর থেকেই শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ওই মহাসড়কে তীব্র যানজট আছে।
ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল যাওয়া যাত্রী শামীম হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাজীপুর চন্দনা চৌরাস্তা থেকে বাসে রওনা হন গাজীপুরের চন্দ্রমুড় পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার পথ আসতেই সময় লেগেছে পাঁচ ঘণ্টা। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ঢাকাগামী বলাকা পরিবহনের চালক আবুল কালাম জানালেন চান্দনা চৌরাস্তা থেকে মহানগরীর মালেকের বাড়ি পর্যন্ত আসতে এক ঘণ্টা সময় লেগেছে।
এদিকে মহাসড়কের পাশাপাশি ট্রেনে ও যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। শুক্রবার সকালে বিপুল সংখ্যক যাত্রীকে জয়দেবপুর জংশনে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য ট্রেনের অপেক্ষায় বসে থাকতে দেখা গেছে।
ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনর ভেতরে যাত্রীদের পা ফেলার জায়গা নেই। অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ইঞ্জিন এবং ট্রেনের ছাদে উঠে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
জয়দেবপুর স্টেশনের স্টেশন মাস্টার রেজাউল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের ছাদে না উঠতে মাইকিং করা হচ্ছে। এরপরও সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে যাত্রীরা ছাদে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ভ্রমণ করছে। যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় সামলাতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সূত্র: জাগো নিউজ